ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন। মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে খাদ্য উৎপাদনে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
এক টুইটার বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস হুঁশিয়ার করে বলেছেন, করোনাভাইরাস যাতে দুর্ভিক্ষ ডেকে না আনে সে জন্য সবারই সতর্ক থাকা উচিত। করোনাকে পরাজিত করার জন্য আমাদের সবারই উচিত ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের পাশে থাকা।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা এফএও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, বিশ্বজুড়ে জারি করা লকডাউনের জেরেই অনভিপ্রেত খাদ্যের সংকট তৈরি হতে পারে। খাবারের অভাব এখন বোঝা না গেলেও লকডাউনের পর খাদ্যের প্রকট অভাব দেখা দিতে পারে।
একটি সমীক্ষা বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮০ কোটি মানুষ ইতিমধ্যে খাদ্য সংকটে ভুগছেন। জাতিসংঘের আশঙ্কা, লকডাউনে বন্ধ আন্তর্জাতিক সীমান্ত। আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধ, ব্যবসা-বাণিজ্যেরও একই হাল। ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সরবরাহ বিঘিœত হতে পারে। যেসব দেশে প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন হয় না, যাদের খাদ্যের জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়, সেসব দেশ চরম সমস্যায় পড়তে পারে। দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষ।
জাতিসংঘের খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত কমিটির আশঙ্কা, খাদ্যের এই সংকটে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে গরিব ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ। এই উদ্ভূত সংকট থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত বিশ্বজুড়ে খাদ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা উচিত বলে মনে করছে জাতিসংঘের ওই কমিটি।
/আরএম