দেশজুড়ে
ওমরা ভিসা বন্ধে ক্ষতির মুখে পরছে এজেন্টরা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের প্রভাব ঠেকাতে সৌদি আরবের ওমরাহ ভিসা বন্ধ করে দেয়ার আকস্মিক সিদ্ধান্তে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে দেশের দেড় হাজারের বেশি হজ এবং ট্রাভেল এজেন্ট। গত এক মাস ধরে এমনিতেই আকাশ পথের যাত্রী সংখ্যা ছিল কম। এবার ওমরাহ টিকিট রিফান্ড হওয়ায় প্রতিদিনই ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে এই খাতের ব্যবসায়ীদের।
পুরো ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের এভিয়েশন খাত চরম বিপর্যয়ের মধ্যে চলছিল। বিমানগুলোতে যাত্রী সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে না ছড়ানোর কারণে সৌদিগামী বিমানগুলোর যাত্রীই ছিল ট্রাভেল এজেন্টদের ভরসা। যার বেশির ভাগই ছিল পবিত্র ওমরাহ পালনকারী। কিন্তু সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে বৃহস্পতিবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিমান সংস্থার যাত্রী না নেয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি টিকিট রিফান্ডের নোটিশ আসতে থাকে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোতে।
চট্টগ্রামের পপুলার ট্রাভেলার্সের মালিক সৈয়দ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, সৌদি আরব যখন ওমরাহ ভিসা এবং ওমরাহ যাত্রীদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করল তখন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে আমাদের জানানো হয়েছে তারা কোনো ওমরাহ হজের যাত্রী বহন করবে না। এতে আমরা ক্ষতির মুখে পড়েছি।
হাব নেতারা জানান, ২০১৯ সালের দশ মাসে ওমরাহ পালনে গিয়েছিল প্রায় আড়াই লাখ বাংলাদেশি। আর এবারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ। ইতোমধ্যে দেড় লাখ ওমরাহ পালন করলেও বাকিদের ব্যাপারে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। সে সাথে ওমরাহ ভিসা পাওয়া ১০ হাজার বাংলাদেশির ৯ কোটি টাকার বিমান ভাড়া, ২০ কোটি টাকার বেশি ভিসা ফি এবং হোটেল ভাড়ার আরও অন্তত ১০ কোটি টাকার ফেরত পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না।
হাবের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ওমরাহ এজেন্টরা এই কাজের মাধ্যমে রুটি-রোজগারের ব্যবস্থা করে থাকেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে তারা সমস্যায় পড়ল।
এদিকে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাব। বিশেষ করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোর উপর সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে দাবি তাদের। এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়ায় কূটনৈতিক চ্যানেলে এর সমাধানের কথা বলছেন হাব নেতারা।
/এন এইচ