প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মিছিল করায় জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের মিছিল আটকাতে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়েছিল। এতে শিক্ষার্থী-পুলিশ-স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার মিছিলে পুলিশি বাধার পরে অসুস্থ হয়ে পড়া ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘিরে ধরা পুলিশের চাপে দম বন্ধ হয়ে আসছিল তাদের। সঙ্গে পেটে-পিঠে-বুকে-গোপনাঙ্গে পেটানো হয়েছে বাদ যাননি ছাত্রীরাও। ১০জন ছাত্রী শরীরের ব্যক্তিগত অংশে আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এবং জাতীয় জনগণনা পঞ্জির (এনপিআর) বিরোধিতায় জামিয়ার ৭ নম্বর গেটের সামনে থেকে ‘সংসদ চলো’র ডাক দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের অনেক প্রতিনিধি এবং বহু স্থানীয় মানুষও। কিন্তু মিছিল শুরুর জায়গা থেকে শ’খানেক মিটার দূরেই হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে তা থামানোর ব্যারিকেড করে রেখেছিল দিল্লি পুলিশ।
সেই ব্যারিকেড ডিঙিয়ে মিছিল সামনে দিকে এগোতে চাওয়াতেই পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি বাঁধে। ব্যারিকেডের গার্ড-রেল নিয়ে দু’পক্ষের এক প্রস্ত টানাটানির পরে অনেকে উঠে পড়েন ব্যারিকেডের উপরে। নাগাড়ে চলতে থাকে স্লোগান।
ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, কাউকে খোলাখুলি লাঠিপেটা হয়তো করা হয়নি। কিন্তু সামনের পুলিশেরা যখন প্রতিবাদীদের রুখছিলেন, তখন পিছন থেকে লম্বা লাঠি দিয়ে ক্রমাগত পেটে, পিঠে এমনকি গোপনাঙ্গে খুঁচিয়ে যাচ্ছিলেন পিছনের পুলিশ কর্মীরা। যে কারণে অনেকে গুরুতর চোট পেয়েছেন। তাদের নিয়ে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। শিক্ষার্থীদের প্রথমে আনসারি হেল্থ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলেও, বড়সড় চোটের কারণেই আল শিফা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে অনেককে।
পুলিশের হাতে আটক হওয়া শিক্ষার্থীর দাবি, হাত পিছমোড়া করে মারধর করা হয়েছে। চলেছে লাথি, চড়, ঘুষি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময়ে কিছু পড়ুয়া সেখানে অজ্ঞান হয়েও পড়েন।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি, এ দিন মিছিলে পড়ুয়াদের তুলনায় স্থানীয় মানুষের সংখ্যা ছিল বেশি। ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনেকে। শিক্ষার্থীদের বার বার পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে না-জড়ানোর অনুরোধ জানানো হচ্ছিল।
/আরএম