দেশজুড়ে
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে; প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা অনেক আগে থেকেই অভিযান শুরু করেছি, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গেল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গার সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে প্রটোকল নিয়ে চলতে হয় এটা ঠিক কিন্তু দেশের খবর রাখি না এটা ঠিক নয়। সবদিকে নজর রেখে কাজ করছি বলেই দেশের এতো উন্নয়ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা যুব সমাজের হাতে অস্ত্র ও মাদক তুলে দিয়ে বিপথে চালিত করেছিল। জিয়াউর রহমান মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র-মাদক তুলে দিয়ে বিপথগামী করেছিলেন। কিন্তু আমরা চাই না যুব সমাজ বিপথে যাক।
ঢাকাস্থ আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের মেয়েদের ওড়না পড়া নিষিদ্ধ করে ক্লাসে প্রবেশ করানো হচ্ছে মর্মে সংসদ সদদ্যের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেয়েদের ওড়না পরা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে গভর্ণিং বডিও কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহন করেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ও অন্যান্য সকল ধর্মের চেতনা ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধে আঘাত করে এ রকম যে কোন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার সর্বদা সচেতন রয়েছে।
এছাড়া, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা যে মর্যাদা দিয়েছি, সেখানে আর পদক দেওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশী-বিদেশি নানা চ্যালেঞ্চ মোকাবেলা করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।