দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
ধার শোধাতে না পেরে মেয়েকে মহাজনের হাতে তুলে দিল বাবা!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় এক ব্যক্তি মহাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা শোধ না করতে পারায় নিজের কিশোরী মেয়েকে তার হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মহাজন মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
ওই বাবা একাধিকবার তার কিশোরী মেয়েকে মহাজনের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিকটিম তার বাবার সঙ্গে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় থাকে। ওই লোক এক মুরগি ব্যবসায়ী মহাজনের দোকানে চাকরি করতো, পাশাপাশি ভ্যান চালাতো। সে মহাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল, কিন্তু শোধ করতে পারেনি। এরপর সে মহাজনের হাতে তার কিশোরী মেয়েকে তুলে দেয়। মেয়েটিকে একাধিকবার মহাজনের হাতে তুলে দিয়েছে সে। কখনও কখনও ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ওই মহাজনের কাছে দেওয়া হতো মেয়েটিকে। গত ১১ জানুয়ারি সর্বশেষ কিশোরী ধর্ষণের শিকার হলে এক প্রতিবেশীকে সে ঘটনাটি জানায়। ওই প্রতিবেশী পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার রাতেই ওই কিশোরীকে ঢামেক ওসিসিতে এনে ভর্তি করা হয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি এ বি এম মশিউর রহমান বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে কামরাঙ্গীরচর ভাড়া বাসায় থাকতো ওই ভ্যানচালক। তার স্ত্রী বিদেশে। ২০১৯ সালে মুরগি ব্যবসায়ী মহাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল সে। এরপর থেকে টাকা না দিতে পারায় কিশোরী মেয়েকে চেয়েছিল মহাজন। এরপর থেকে বারবার ধর্ষণের শিকার হচ্ছিল মেয়েটি।’
এই ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা হয়েছে। কিশোরী তার বাবার সঙ্গে যে বাসায় ভাড়া থাকতো সেই বাড়ির মালিক বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। মামলায় বাবা ও মহাজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ওই বাবাকে মঙ্গলবার রাতেই গ্রেফতার করেছে। তবে মুরগি ব্যবসায়ী মহাজন পলাতক।
/আরএম