আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ায় পথশিশুর মলিন মুখে ঈদের খুশি!
নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন জামা, শেষ কবে গায়ে জড়িয়েছে, মনে পরছে না পথশিশু মরিয়মের। এলোমেলো কোঁকড়া চুল, যত্নহীন মুখের মলিনতা-এমন প্রশ্নে নিরব মরিয়ম। নতুন জামা না পাওয়ার গল্পটা। ঈদের সময়ও একি দশা। পুরোনো জামাই ভরশা। আশুলিয়া জামগড়া জামগড়ায় মরিয়মের মতো জামাল-রহিমসহ আর অনেক পথশিশুর একই চিত্র।
ধরা বাধা নিয়ম নেই। ভোর বা রাত। কাজের প্রয়োজনে প্লাস্টিক বস্তা হাতে বেড়িয়ে পড়ে সড়ক-মহাসড়কের নানা পথ ধরে। ময়লা-আবর্জনা থেকে কুড়িয়ে বেড়ান মহাজনের বেধে দেয়া জিনিসপত্রের তালিকা ধরে। তাদের করুণ দশার জীবনের গল্পে অমিল থাকলেও, না পাওয়ার জায়গায় পুরোটাই মিল।
তবে সমাজের কিছু মানুষের হাত ধরে স্বপ্ন ছোঁয়ার মতো মরিয়ম, জামাল বা রহিমসহ অনেকের অন্তত একটি দিনে ভালোবাসার পরশ মেলে, না পাওয়া মাঝে । তেমনি একটা দিন ছিলো মে মাসের শেষ দিনটি।
পেশায় ঠিকাদার ও রাজনীতিবিদ মো. ইমাম হোসেন। কাজের খাতিয়ে প্রায় পুরোটায় সময় কাটে আশুলিয়ার জামগড়া ঘিরে। তাঁর ৪ তলা অফিসের বারান্দা দিয়ে চোখে ফেললেই দেখা মেলে, গন্তব্যহীন পথশিশুর ছুটে চলা। এভাবে দেখেছেন অনেকটা দিন। ইচ্ছে জাগে কিছু একটা করার।
সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। তবু ঈদে অন্তত পথশিশুদের নতুন জামা কেনা দেয়ার বিষয়ে অনড় তিনি। কষ্ট হলেও কোমলমতি শিশুদের নিরাশ করেননি। নিজ উদ্যোগে প্রায় ৩০ পথশিশুকে ঈদে নতুন জামা কিনে দিলেন তিনি।
ইমাম হোসেন জানান, ইচ্ছে করে অবহেলিত এই শিশুদের জন্য অনেক কিছু করার। কিন্তু সামর্থ্য নেই। তাই যতটুকু পারি তাদের পাশে থাকার একটু চেষ্টা করি। ঈদে অন্তত নতুন জামায় তারাও যেন ঘুরে পারে। তাই সামান্য এই উদ্যোগ।
ঈদের নতুন জামা পেয়ে শিশুরাও খুব আনন্দিত।