দেশজুড়ে
দুর্নীতিগ্রস্থ তাবিথ আউয়াল বিএনপির মনোনয়ন পেলেন
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাবিথ আউয়ালকে। সে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে। ক্ষমতার বাইরে থেকেও দুর্নীতির সাথে সদা জড়িয়ে থাকা পরিবারের নাম মিন্টুর পরিবার। মিন্টুর বড় ছেলে তাবিথ আওয়ালকে নানান অভিযোগে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদও করেছে দুদক। এই পরিবার যত না রাজনীতির কারণে আলোচনায় এসেছে তার চেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে দুর্নীতির কারণে।
বহুল আলোচিত আর্থিক কেলেঙ্কারি প্যারাডাইস পেপারসে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর নাম এসেছিল। তার স্ত্রীসহ তিন ছেলেও ছিলেন এই তালিকায়। তাদের কর ফাঁকি দেওয়া বিষয়ের গোপন নথি ফাঁস করে প্যারাডাইস পেপারস। জার্মান দৈনিক জিটডয়েচ সাইতং প্রকাশ করে এইসব কেলেঙ্কারির কথা।
প্যারাডাইস পেপারস হচ্ছে বিশ্বের ১৮০টি দেশের রাজনৈতিক, সেলেব্রিটি ও বিত্তশালী মানুষের অর্থনৈতিক লেনদেন ও মালিকানা-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের এক বিশাল ডাটাবেজ। জানা যায়, বারমুডায় অবস্থিত অ্যাপলবাই নামের এক আইনি সহযোগী সংগঠনের এর গোপন নথি জোগাড় করে তা দিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টকে (আইসিআইজে)। ৬৭টি দেশের ৩৮০ জন সাংবাদিক ১ কোটি ৩৪ লাখ দলিলের তথ্যাদি এখন তদন্ত করে দেখছেন। গত বছরের ৫ নভেম্বর প্রথম তারা তথ্য ফাঁস করে। সেদিন কেলেঙ্কারির সঙ্গে বিশ্বের ১২০ জন রাজনৈতিক নেতার নাম প্রকাশিত হয়। সেই তালিকায় দেখা যায় তাবিথ আউয়ালসহ ঐ পরিবারের চার সদস্যের নাম।
আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রায় এক দশক যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। ১৯৮২ সালে দেশে ফেরার আগে সেখানে শিপিং ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন তিনি।অ্যাপলবাই থেকে ফাঁস হওয়া গোপন নথির বরাতে আইসিআইজে জানায়, আউয়াল পরিবারের সদস্যরা ১৯৯৯ সালের ৯ আগস্ট বারমুডায় ‘এনএফএম এনার্জি লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে গোপনে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেন। এই ব্যক্তিরা কর ফাঁকি দিতে বিভিন্ন ট্যাক্স হেভেনে (কার ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকে, এমন ক্ষেত্রে) বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, লন্ডনে অর্থপাচারসহ একাধিক অভিযোগ তদন্ত করছে। তাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
এসব খবর জানার পর নেটিজেনরা বলছেন, ‘ক্ষমতার বাইরে থাকতেই যে এত দুর্নীতির সাথে জড়িত, ক্ষমতার স্বাদ পেলে সে কী করবে? এমন মেয়র প্রার্থীই কি চেয়েছিল জনগণ?’