দেশজুড়ে
পুলিশের কাছে দুঃখ প্রকাশ করল হাতিরঝিলের মানব কুকুর
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাতিরঝিলে একজন পুরুষের গলায় দড়ি বেঁধে তাঁকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন এক নারী। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় ভিডিওটি। সামাজিক মাধ্যমে এটি দেখে অনেকেই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের ফেসবুক পেজকে ট্যাগ করে।
তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নজরে এলে তিনি ভিডিওতে অংশ নেওয়া পুরুষ ও নারীকে শনাক্ত করে তাদের তলব করেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর উপকমিশনারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ভিডিওতে অংশ নেওয়া টুটুল চৌধুরী ও আফসানা হাসান সেঁজুতি লিখিত ও মৌখিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেন। সোমবার(৩০ ডিসেম্বর) ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ফেসবুক পেজে এ কথা জানানো হয়।
টুটুল চৌধুরী ও আফসানা হাসান সেঁজুতি জানান, গত বুধবার বিকেল ৪টায় হাতিরঝিল থানাধীন রামপুরা ব্রিজ এলাকায় তারা দুজন একটি স্ট্রিট আর্ট পারফরমেন্স করেন, যা আসলে ১৯৬৮ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ভ্যালি এক্সপোর্ট ও পিটার ওয়েভেলের ‘ফ্রম দি পোর্টফোলিও অব ডগডনেস’-এর পুনরাবৃত্তি করেন।
এর মূল প্রতিপাদ্য ছিল- ‘কালের যাত্রায় মানুষ অগ্রসর হচ্ছে। সে অগ্রযাত্রার ঊর্ধ্বমুখী চলন হিসেবে একজন শিল্পী সামাজিক উপাদান মানুষ ও সভ্যতার ধ্রুবক। অন্যজন আতঙ্কিত, অনুসরণরত এবং শীতের প্রকটতায় নিজেকে মানিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
পারফরমেন্সটি ঘণ্টাব্যাপী করার পরিকল্পনা করলেও হাতিরঝিল থানা পুলিশের বাধার মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে তা শেষ না করেই তারা হাতিরঝিল ত্যাগ করেন। এ সময় হাতিরঝিলে আগত দর্শনার্থী/পথচারীদের কেউ তাঁদের হাতিরঝিল ত্যাগের দৃশ্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। ফলে তাদের মূল পারফরমেন্স না দেখে হাতিরঝিলে আগত দর্শনার্থী/পথচারী কর্তৃক ধারণকৃত ও পরবর্তী সময়ে পোস্ট করা অবাঞ্ছিত দৃশ্য দেখে তাঁদের সম্পর্কে জনসাধারণের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন।
ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, হাতিরঝিলের মতো জনাকীর্ণ উন্মুক্ত স্থানে প্রকাশ্য দিবালোকে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিরোধী এ ধরনের পারফরমেন্স কেন করা হলো- এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা দুঃখপ্রকাশ করেন।
/আরএম