দেশজুড়ে

২৩১ জনের সঙ্গে প্রতারণা নিয়েছে লাখ লাখ টাকা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কখনো পুলিশ, কখনো আসামিদের স্বজন, কখনোবা পুলিশের সোর্স- নানা পরিচয় দিয়ে গেল এক বছরে ২৩১ জনের সঙ্গে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
নানা অপরাধে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া লোকজনের স্বজনদের আশ্বাস দিতেন টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে দেয়ার। এ রকম একজন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

প্রযুক্তি ব্যবহার করে কখনো নারী কণ্ঠে কখনো বা পুরুষ কন্ঠে জাবেদ নিজেই হয়ে যান আটককৃত ব্যক্তির স্বজন কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। মিন্টো রোডে ডিবি অফিসের সামনে অথবা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানার সামনে অপেক্ষমাণ গ্রেপ্তার কিংবা আটক আসামির স্বজনরাই জাবেদের মূল টার্গেট।

প্রথমে আসামির স্বজনদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানার পর তাকে টাকা বিনিময়ে ছাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। গেলো এক বছরে শুধুমাত্র একটি বিকাশ নম্বরেই ২৩১ জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। প্রতারক মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, ‘আনুমানিক দেড় বছরের কাছাকাছি আমি এ কাজ করছি। পাশাপাশি একটা ফ্লেক্সিলোডের দোকান আছে সেটি চালাই। আমি দশ থেকে বার লাখ টাকা এভাবে নিয়েছি।’

নিজের ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে মিরপুরের দুধ বিক্রেতা সুদেব মণ্ডলকে নিজের শেষ সম্বল গরুটিও বিক্রি করে দিতে হয়েছে। ভুক্তভোগী সুদেব মণ্ডল জানান, ‘আমি অনেক কান্নাকাটি করছি। আমি গরীব মানুষ, আমার কিছুই নাই। আমাকে বলে ওপর লেবেলে যেনে গেছে। ৩০ হাজার টাকা দিলে আমি তোমার ছেলেকে ছেড়ে দিতে পারি।

এমন অনেকেই তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আরেক ভুক্তভোগী মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ‘ফোন দিয়ে বললো কিছুটা কমায় গাড়িটা নিয়ে যান আমাদের জায়গাটা খালি করতে হবে। টাকা দিয়ে দেন। আমি রিলিজ অর্ডারটা আজকে সই করবো।’

দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জাবেদকে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, ‘তাকে ধরাটা আমাদের জন্য বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ সে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রতি নিয়ত ব্যবহার করছিল।’ পুলিশ বলছে আর কার কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এই প্রতারক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close