জীবন-যাপনস্বাস্থ্য

শীতে টনসিল সারানোর ৬টি ঘরোয়া উপায়

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ঢোক গিলতে গেলেও কষ্ট হয়। মুখ-গলা, নাক, কান দিয়ে শরীরের অভ্যন্তরে জীবাণু প্রবেশে বাধা দেয় এই টনসিল। টনসিল আক্রান্ত হলে জীবাণুর প্রকোপ বাড়ে, বাড়ে অন্যান্য অসুখের ভয়ও।

টনসিল কি?

টনসিল হলো আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশ এবং আমাদের মুখের ভেতরেই চারটি গ্রুপে তারা অবস্থান করে। এদের নাম লিঙ্গুয়াল, প্যালাটাইন, টিউবাল ও অ্যাডেনয়েড। এই টনসিলগুলোর কোনো একটির প্রদাহ হলেই তাকে বলে টনসিলাইটিস। টনসিল বলতে আমরা সচরাচর যা বুঝি, তা কিন্তু আসলে টনসিলাইটিস। টনসিলাইটিস যে শুধু শিশুদের হয়, তা নয়। এটি শিশুদের বেশি হলেও যেকোনো বয়সেই হতে পারে।

বছরের অন্য সময়ের চেয়ে শীতে টনসিলের সমস্যা বেড়ে যায়। এই রোগে আগে ঘরোয়া চিকিৎসা। আর অতিরিক্ত সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আসুন জেনে নিই টনসিল রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা-

১. গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ভেপার নিন। এই সময় চাদর দিয়ে নিজেকে মুড়ে ফেলুন।

২. কান-মাথা কাপড় দিয়ে ডেকে রাখতে হবে। এ সময় বাতাস গায়ে না লাগানো ভালো।

৩. গলাব্যথা, টলসিলের অসুখ থেকে অনেকটা আরাম লবণ ও পানির ভেপার।

৪. ফোটানো দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। হলুদের অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান সংক্রমণ সরায়। এ ছাড়া হলুদ প্রাকৃতিকভাবেই অ্যান্টিসেপটিক উপাদানে ঠাসা। তাই হলুদের প্রভাবে গলার প্রদাহও সারে।

৫. তিন কাপ পানিতে এক চা চামচ গ্রিন টি ও এক চামচ মধু দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন। এই চা একটা ফ্লাস্কে রেখে দিন। উষ্ণ থাকাকালীন অল্প অল্প করে বারবার খান। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এটি শরীরের জীবাণুর সঙ্গে লড়াইও করে।

৬. খেয়ে দেখতে পারেন মধু। মধুর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান প্রদাহ কমায় টনসিলের।

/এনএ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close