দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
আমরণ অনশনে অসুস্থ ১৫০ পাটকল শ্রমিক
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের আমরণ অনশনে গিয়ে প্রায় দেড়শত শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ শ্রমিকদের বিভিন্ন হাসপাতালে ও অনশন স্থানেই স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রায় ২৭ জন শ্রমিককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকরা। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে তারা এ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
এ দিকে অনশন কর্মসূচির কারণে পাটকলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে শিল্পাঞ্চলের বিআইডিসি সড়কের দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলনে খুলনার শিল্পাঞ্চল উত্তাল হয়ে পড়েছে। অচলা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে গোটা শিল্পাঞ্চলে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিমসহ যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং স্ব স্ব পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রেখে মিলের সামনের রোডে এ কর্মসূচি পালন করছেন প্রায় অর্ধ লক্ষ শ্রমিক।
তবে শ্রমিকরা জানিয়েছে, হয়তো দাবি আদায় নয়তো অনশন স্থানেই মরতে চান শ্রমিকরা। শ্রমিকরা নিজেদের কাঁথা-কম্বল নিয়ে অনশনে আসেন। দাবি না আদায়ের আগ পর্যন্ত শ্রমিকরা ঘরে ফিরবে না।
প্লাটিনাম জুটমিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন বলেন, শীতে ও অনাহারে থাকায় প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের অনশন স্থানেই স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বাসায় শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করার প্রস্তাব দেন প্রতিমন্ত্রী। ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার মিটিংয়ে শ্রমিকদের দাবি পূরণ হবে। কিন্তু শ্রমিক নেতারা মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবে বলে জানান এই শ্রমিক নেতা। কোনো আশ্বাসে আর ঘরে ফিরতে চায়না তারা।
এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর ১১ দফা দাবিতে ৬ দিনের কর্মসূচির ডাক দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ।
/আরএম