স্বাস্থ্য
দুধের চেয়ে বিয়ার স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মদ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এতদিন অবধি এমনটাই মানা হত। হয়তো এজন্যই আমাদের ছোটো থেকে দুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে অবগত করা হত। তবে এবার সম্পূর্ণ উল্টো তথ্যই দিল পেটা (People for the Ethical Treatment of Animals)।
পেটা জানাচ্ছে, দুধ নয়, বরং বিয়ার খাওয়ার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার।
শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য দুধের জুরি মেলা ভার। দুধের এই উপকারিতা দেখেই অধিকাংশ পরিবারে এক বা দু’ গ্লাস করে দুধ খাওয়ার চল আছে।
কিন্তু সম্প্রতি পেটা তাদের এক সমীক্ষায় জানাচ্ছে, দুধের থেকে বিয়ার খাওয়া ভালো। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিয়ার কেবল হাড়কেই শক্ত করে না বরং এটি খেলে মানুষের আয়ুও বাড়ে। এমনকি পেটা মানুষকে দুধ না খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে। শুধু এই নয়, পেটা দুধ খাওয়ার বেশ কয়েকটি ক্ষতিকারক দিক নিয়েও আলোচনা করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, দুধ স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিরও কারণও বটে।
হাবার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের একটি রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, পেটা এমনটা দাবি করেছে।
বিয়ারকে একটি কোলেস্টেরল ব্রেভারেজ বলে মানা হয়। এটি বানাতে যেসব উপকরণগুলি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে অনেক পুষ্টিজনিত দ্রব্যাদি রয়েছে। বিয়ার বানাতে গম, ভুট্টা, যব এবং চালের ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, বিয়ারে ৯০ শতাংশ পানি ছাড়াও ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রনসহ শরীরে পুষ্টি যোগায় এমন অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে।
বিয়ার মানুষের হাড়কেও মজবুত করে। শরীরের মাংসপেশিগুলির বিকাশের জন্যও বিয়ারকে যথেষ্ট উপকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। যেখানে দুধ খেলে বিভিন্নরকমের হার্টের রোগ, স্থূলতা, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
পেটায় আরো বলা হয়েছে, বিয়ার দুধের থেকে অধিক উপকারী হলেও এটি একটি অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিয়ার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।