দেশজুড়ে
প্রবাসীকে ঘুষের টাকা ফেরত দিল পুলিশের এসআই
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ওসি পরিচয়ে প্রবাসীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহারের পর আদায়কৃত টাকা ফেরত দিলেন অভিযুক্ত এসআই শিশির কুমার বিশ্বাস।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী আরব আমিরাতের দুবাই প্রবাসী ফাতেমা বেগম এসআই শিশির কুমারের ১২ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে নোয়াখালীর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিমকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। পুলিশের অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করার পর থেকে প্রবাসী পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।
লিখিত ওই অভিযোগে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর সোমবার রাত ৯টায় ফাতেমা বেগমের অনুপস্থিতিতে তার বোনের শ্বশুরবাড়ীতে গিয়ে তার শ্বশুর মো. ইলিয়াছকে অভিযুক্ত এসআই শিশির কুমার বিশ্বাস হাতিয়ে নেয়া ১২হাজার টাকা ফেরতসহ আরো অতিরিক্ত ২০হাজার টাকা দিতে চায়। কিন্তু বৃদ্ধ ইলিয়াছ টাকা রাখতে না চাইলে শিশির কুমার বিশ্বাস টেবিলের ওপর ১২ হাজার টাকা রেখে চলে যায় এবং যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলেন, ‘অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে তোমাদের অবস্থা ভালো হবে না।’ ওই রাতে ফাতেমা বেগম তার ভিসার বিষয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিল। এসআই শিশির কুমারের টাকা রেখে আসার বিষয়ে তার বোনের শ্বশুর মো. ইলিয়াছ তাৎক্ষণিকভাবে মুঠোফোনে ফাতেমাকে জানায়।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী প্রবাসী ফাতেমা বেগম আরো উল্লেখ করে বলেন, এসআই শিশির কুমার বিশ্বাস ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়া ১২ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে আসলেও এখনও তিনি ও তার সহযোগী স্থানীয় বাহার ও আনোয়ারসহ অজ্ঞাত কয়েকজন অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য নানা ধরনের ভীতি সৃষ্টি করছে।
ফাতেমা বেগম অভিযুক্ত এসআই শিশির কুমার বিশ্বাসসহ অপরাপরদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগটি প্রত্যাহার করবেনা বলে এবং ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিমকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।
গত ৩০ নভেম্বর শনিবার রাতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের নির্দেশে অভিযুক্ত এসআই শিশিরকে কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার নোয়াখালী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
নোয়াখালীর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রবাসী ফাতেমা বেগমের অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগটি আমার হস্তগত হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ছাড়াও ঘটনার সাথে স্থানীয় যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলমান রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি’কে ঘটনার সাথে জড়িত স্থানীয়দের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া আছে।