দেশজুড়ে

দেশে ফিটনেসবিহীন বাস ১৮ হাজার, অবৈধ মোটরসাইকেল চালক ১৩ লাখ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দেশে ফিটনেসবিহীন বা আনফিট বাস ও বৈধ চালকহীন মোটরসাইকেলের ছড়াছড়ি। এসব কারণে দেশের নানা প্রান্তের সড়কে ঝরছে প্রাণ। একদিকে, অবৈধ মোটরসাইকেল চালক। অন্যদিকে, ফিটনেসবিহীন যানবাহনে অতিষ্ঠ নগরবাসী। মোটরসাইকেলের কারণে একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে, তেমনি সড়ক ও ফুটপাতের যাত্রী ও পথচারীরা বেশিরভাগ সময়ই বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ছেন। ফিটনসেবিহীন বাস ও মোটরসাইকেলের কারণে সড়কে চলাচলে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়ছেন নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে মোট বাসের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৭০২টি। এরমধ্যে ফিটনেস আছে ২৮ হাজার ১৪৯টি বাসের। বাকি ১৮ হাজার ৫৫৩টি বাসের কোনো ফিটনেস নেই বা আনফিট।

মোটরসাইকেলের অবস্থা আরও ভয়াবহ। দেশে মোট মোটরসাইকেলের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ১২৩টি। অথচ এরমধ্যে পেশাদার ও অপেশাদার মিলে মোট ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭ জনের লাইসেন্স আছে। ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩৬টি মোটরসাইকেল চলে অবৈধ চালকের হাতে।

এর মধ্যে পেশাদার লাইসেন্স আছে মাত্র এক লাখ ৭০ হাজার ২৭৩ জনের। এরমধ্যে আবার ১৫১ জন নারী। অন্যদিকে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৮১৪ জন চালকের অপেশাদার লাইসেন্স রয়েছে। এরমধ্যে নারী চালকের সংখ্যা সাত হাজার ৭৮৮ জন।

সম্প্রতি রাজধানীবাসীর কাছে নতুন এক আতঙ্কের নাম বেপরোয়া মোটরবাইক। গত কয়েক বছরে বিশেষ করে দেশে অ্যাপভিত্তিক রাইড সার্ভিস চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন মোটরসাইকেল রাস্তায় নামছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

বিআরটিএ সচিব একেএম মাসুদুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ফিটনেসবিহীন বাস ও অবৈধ মোটরসাইকেল চালকদের কারণে সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। আমরা এদের আর ছাড় দেব না। ২০২০ সালের জুন পযর্ন্ত আমরা সময় বেঁধে দিয়েছি। এরপরে ফিটনেসবিহীন বাস সড়কে পাওয়া গেলেই ডাম্পিংয়ে দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে জুনের পরে কোনো বাইকার লাইসেন্স ছাড়া সড়কে উঠতে পারবে না। তাদের জন্যও একই ধরনের আইন প্রয়োগ হবে।

তিনি বলেন, শুধু বাস নয়, ফিটনেসবিহীন অন্যান্য সব যানবাহনের জন্যও একই আইন প্রয়োগ করব। যেসব চালক হালকা যানবাহনের লাইসেন্স নিয়ে ভারী যানবাহন চালাচ্ছে, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। জুনের মধ্যে সবাইকে ধরে ফেলব। সবক্ষেত্রেই কড়াকড়ি, কোনো ছাড় নেই। আইন কড়াকড়িভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিআরটিএ সূত্র আরও জানায়, সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি প্রতিরোধে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আনফিট বা ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ যানবাহনের ফিটনেসহীনতা। সারাদেশে বাস, কাভার্ডভ্যান, মিনিবাস, ট্যাংকার ও ট্রাকের সংখ্যা দুই লাখ ৫০ হাজার ৮০৩টি। এরমধ্যে ৯৯ হাজার ৭৭৯টির ফিটনেস নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close