দেশজুড়েধামরাইপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
মামলার আলামত বিক্রি; ধামরাই ফাঁড়ির দুই পুলিশ ক্লোজড
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) একেএম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলার আলামত বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
একেএম ফজলুল হক ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ৩টি ইজিবাইক বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন একই থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শামীম হোসেন।
অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত দুজন পুলিশ সদস্যকেই ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ইজিবাইক তিনটি উদ্ধারের পর থানায় নেওয়া হলেও এখন সেগুলোর হদিস মিলছে না।
এএসআই শামীমের অভিযোগ, জব্দকৃত ওই তিনটি ইজিবাইকের ব্যাপারে জানতে চাইলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান পুলিশ পরির্দশক একেএম ফজলুল হক। এএসআই শামীম জানান, ‘আমি ইজিবাইক তিনটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি (ফজলুল) আমার উপরে ক্ষিপ্ত হন।’
এ বিষয়ে পুলিশ পরির্দশক একেএম ফজলুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ধামরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘রাত নয়টার দিকে এসপি মহোদয়ের নির্দেশে ইন্সপেক্টর একেএম ফজলুল হক এবং এএসআই শামীমকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে (২৭ সেপ্টেম্বর) ধামরাই উপজেলার জালসা গ্রামে তিনটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে রমজান আলী নামের এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে পালায় ডাকাত সদস্যরা। এ ঘটনার পর ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সর্দার ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
পরে ধামরাই থানায় একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা হয়। মামলার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কাওয়ালীপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) একেএম ফজলুল হক। তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও জিরানি এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি ইজিবাইকও জব্দ করেন। এ সময় তার সঙ্গে দায়িত্বে ছিলেন এএসআই শামীম। পরে ইজিবাইক তিনটি ডাকাতি মামলার আলামত হিসেবে কাওয়ালীপাড়া ফাঁড়িতে নেন ফজলুল হক। কিন্তু পরে ইজিবাইকগুলোর হদিস না মেলায় পুলিশ পরিদর্শক ফজলুলের বিরুদ্ধে সেগুলো বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ তোলেন এএসআই শামীম।
#এমএস