শিক্ষা-সাহিত্য

প্রতিবন্ধী না হয়েও কোটায় ভর্তি হলেন ছাত্রলীগ নেতা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী না হয়েও প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হলেও স্নাতক পাস করতে পারেননি।

আর এই অভিযোগ ইংরেজি বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের (রোল-১০১০১০৯) ছাত্র তৌকির মাহফুজের বিরুদ্ধে। তিনি ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে বিদ্রোহী ও পদবঞ্চিতদের অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে পরিচিত।

২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হলেও তিনি স্নাতক চতুর্থ বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে দিয়েছেন। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষ স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০১৫ এর ফলাফলে দেখা যায় তিনি ১০৬ নম্বর কোর্সে অকৃতকার্য হয়েছেন। পরবর্তীতে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ বর্ষ মান উন্নয়ন (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়।

কিন্তু তৌকির মাহফুজ এ মান উন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি এবং ফলাফল পত্রে তার নামও পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে সে বিশেষ মান উন্নয়নের জন্য আবেদন করেলও একাডেমিক কাউন্সিলে তা গৃহীত হয়নি।

এ বিষয়ে তৌকির মাহফুজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ২০১০-১১ সেশনে ছিলাম পড়ে আমি আবার পুনরায় ভর্তি হয়ে ২০১১-১২ এর সাথে ফাইনাল পরীক্ষা দেই। ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার পরে দেখা গেছে আমার একটা সাবজেক্টে ফেল আছে। ওই সাবজেক্টের পরীক্ষা দেওয়ার জন্যে আমি ডিপার্টমেন্ট বরাবর একটি আবেদন করছি। ওটা হচ্ছে যে, একটা সাবজেক্টে পাস করলে, আমার রেজাল্ট বের হয়ে যাবে। তিনি (শ্রবণ) প্রতিবন্ধী কিনা মুঠোফোনে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাতে কথা বলতে চান।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে মান উন্নয়ন দিতে না পারায় তার একটি পরীক্ষার জন্য সে বিশেষ মান উন্নয়নের জন্য আবেদন করেছিল পরে বিষয় একাডেমিক কাউন্সিলে গৃহীত হয়নি।

উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রবিউল ইসলাম বলেন, যথাসময়ে মান উন্নয়ন পরীক্ষা না দেয়ায় পদ্ধতিগতভাবে তার ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে গেছে। এ বিষয়ে উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত হয়েছি, পরবর্তীতে খতিয়ে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close