ধামরাইপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
ধামরাইয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি, ১০ ব্যবসায়ীর দণ্ড
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ঢাকার ধামরাইয়ে লবণ সংকটের গুজব ছড়িয়ে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করায় ১০ অসাধু ব্যবসায়ীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক অসাধু ব্যবসায়ীদের ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জানা গেছে, উপজেলার কালামপুর, ধামরাই বাজার, কাওয়ালীপাড়া,নবগ্রাম বালিয়া, চৌহাট, সূয়াপুর, কুশুরা, ধানতারা, জয়পুরা, নওগা, বাথুলী, হাতকোড়া, বারবাড়িয়া, জলসীন, খড়ারচর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে লবণ সংকটের গুজব ছড়িয়ে দেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মাঝে লবণ ক্রয়ের হিড়িক পড়ে যায়। এ সুযোগে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতি কেজি প্যাকেট লবণ ৩৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।
খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ কালামপুর, ধামরাই বাজার, কাউয়ালীপাড়া, হাতকোড়া, গাঙ্গুটিয়া, ছোট চন্দ্রাইলসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ জন অসাধু ব্যবসায়ীকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ভালুম গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম, তেতুলিয়া গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে মুছা মিয়া, কান্দাপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে আবুল হোসেন, ছোট চন্দ্রাইল গ্রামের জুড়ান আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, ধামরাই বাজারের প্রিয়নাথ সরকারের ছেলে সুমেন সরকার, গাঙ্গুটিয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে সাদেক আলী, পৌরসভার হামিদ দেওয়ানের ছেলে সায়েম দেওয়ান, অর্জুন নালাই গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে সাইদুর রহমান, কাওয়াখোলা গ্রামের তাইজুদ্দিনের ছেলে রেজাউল সরকার ও কাওয়ালীপাড়ার প্রতিক পাবনের ছেলে সুভাষ চন্দ্র সাহা। আটকদের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির করে থানা পুলিশ।
এদের মধ্যে প্রথম সাতজনকে ১০ হাজার করে ও পরের তিনজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক জানান, অতিরিক্ত দরে লবন বিক্রি ও গুজব ছড়ানোর অপরাধে অসাধু ১০ ব্যবসায়ীকে মোবাইল কোর্টে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কোন অসাধু ব্যবসায়ীকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।