দেশজুড়ে

প্রেমিক সেজে অস্ত্রের মুখে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় প্রেমিক সেজে মাদরাসার এক ছাত্রীকে (১২) মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে দেশিয় অস্ত্রের মুখে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার পশ্চিম রাজনগরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম সাইম (২৫) এবং সে এক সন্তানের জনক।

এদিকে এ ঘটনায় ধর্ষণ কাজে সহায়তার অভিযোগে খোরশেদ ও শহিদুল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত সাইমন পলাতক রয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবার জানায়, উপজেলার রাজনগর রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে একই মাদরাসায় পড়ুয়া ফাজিল ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী (বর্তমানে ঢাকায় বেসরকারি চাকরিরত) মাজেদুলের (২০) কিছুদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে প্রেমিক মাজেদুলের পরিচয় দিয়ে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ছাত্রীকে ফোন করে দেখা করতে বলে। কথামতো ওই ছাত্রী বাড়ির পেছনে যায় এবং প্রেমিক মাজেদুলের পরিবর্তে একই এলাকার মজিবরের পুত্র সাইমকে কিশোরী দেখতে পায়। এ সময় সাইম কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ছুরি বের করে হত্যার হুমকি দেয় ও ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর কিশোরী বাড়ি এসে তার মাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনাটি নিয়ে রাতেই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও ছেলের অভিভাবকসহ স্থানীয়রা শালিসে বসে। শালিসে অভিযুক্ত সাইমকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে আপোসের চেষ্টা চালায়। কিন্তু কিশোরী ও তার পরিবার শালিস না মেনে পরের দিন ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বকুলের শরণাপন্ন হন। চেয়ারম্যান বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এরপর আসামি ধরতে পুলিশ অভিযান চালালেও ততক্ষণে প্রধান আসামি পালিয়ে যায়। তবে তার দুই সহযোগীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, ঘটনার তিন দিন পর তাদের জানানো হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা আফরোজা বেগম বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত সাইমনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close