দেশজুড়ে
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ৫২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (২ নভেম্বর) ভোরে তাসলি খাতুন (১৮) নামে ওই গৃহবধূ মারা যান।
স্ত্রীকে নির্যাতনকারী পুলিশ কনস্টেবলের নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলার বাটরা গোপালপুর গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে। মনিরুল বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন। অন্যদিকে নিহত তাসলি একই উপজেলার জোয়াড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
নিহতের পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৪ মাস আগে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুলের সঙ্গে তাসলির বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাস পর মনিরুলের সঙ্গে তাসলি চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এর মাঝে তাসলির শ্বশুরবাড়ির লোকজন দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং সেই টাকা গোপনে তার শাশুড়িকে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। কিন্তু টাকা দিতে তাসলির পরিবার অপারগতা প্রকাশ করে।
এদিকে যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্য চাচাতো ভাই শাহাদৎ হোসেনের প্ররোচনায় তাসলিকে তার বাবা বাড়ি পাঠিয়ে দেন মনিরুল।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে মনিরুল শ্বশুরবাড়িতে এসে তাসলিকে টাকার জন্য চাপ দেন। এতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে তাসলিকে মারধরের এক পর্যায়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যার চেষ্টা চালান মনিরুল। পরে তাসলি মারা গেছে এই ভেবে মনিরুল ঘরের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাসলিকে উদ্ধার করে প্রথমে বনপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে তাসলির স্বামী মনিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি আমার স্ত্রী মারা গেছেন। তবে আমার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সঠিক নয়।’
নাটোরের সহকারী পুলিশ সুপার ফাতেমা-তুজ-জোহরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা মিললে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’