ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ, রাত পোহালেই শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। এতে একদিকে রয়েছে মিশা-জায়েদ প্যানেল, অন্যদিকে স্বতন্ত্রভাবে সভাপতি পদে লড়ছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরা।
এ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খান। বাকি দুজন সদস্য হলেন পরিচালক সোহানুর রহমান ও রশিদুল আমিন। নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে। এ ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
শুক্রবার নির্বাচন হওয়ায় বুধবারই ছিল প্রচারণার শেষ দিন। শেষ দিনে তাই বিএফডিসিতেই ভীড় জমান শিল্পী ও প্রার্থীরা। মিশা জায়েদ পরিষদের প্রার্থীরা বিএফডিসি চত্বরে ঘুরে ঘুরে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। নির্বাচনী প্রচারণা উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক আয়োজনে নাচে গানে মেতে ওঠেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের রেড অর্কিড রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন মৌসুমী। এ নির্বাচনে জয়ী হলে শিল্পী সমিতির উন্নয়নে কী কী কাজ করবেন সে বিষয়ে ৮টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে খলনায়ক মিশা সওদাগরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌসুমী। সহ-সভাপতির দুটি পদে রুবেল ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রত’র বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।
নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন- অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।
/একে