কৃষিদেশজুড়ে

পাহাড়ের রসালো লিচুতে কৃষকের মুখে হাসি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলায় এবছর প্রচুর লিচু উৎপাদিত হয়েছে। পাহাড়ে জন্মানো এ লাল রঙের রসালো সুস্বাদু লিচু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

কৃষি অধিদফতর জানায়, রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, কাপ্তাইসহ বিভিন্ন উপজেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিদিনই রাঙ্গামাটি শহরে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও লঞ্চে করে আনা হচ্ছে লিচু। যা ট্রাকে করে বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বরকলের লিচু চাষি প্রভাত কুসুম চাকমা বলেন, ‘আমার দু’টি পাহাড়ে প্রায় ১১ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে লিচুর বাগান। প্রতি বছর এ সময়ে আমি বাগান থেকে প্রচুর লিচু বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করি। এ বছর বাগান পরিচর্যার জন্য প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর শুরু থেকে ভালো মুকুল এসেছিল গাছে। তাই ফলও হয়েছে ভালো। এবারের বাজারে মূল্য ভালো। আশা করা যায় প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার মতো আয় হতে পারে।’

নানিয়ারচরের আরেক চাষি জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘আমি বাড়ির পাশে প্রায় ৫ একর জমিতে লিচু গাছ লাগিয়েছিলাম। এখন প্রতি বছর এ বাগান থেকে প্রচুর চায়না-৩ লিচু উৎপাদন হয়। এ লিচু বাজারে বিক্রি করে ভালো লাভবান হচ্ছি। চায়না-৩ একশ’ লিচু বাজারে প্রায় ৩০০-৩৫০ টাকা বিক্রি করছি।’

রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, ‘রাঙ্গামাটির মাটি লিচু চাষের জন্য উর্বর। বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় লিচুর ভালো ফলন হয়। রাঙ্গামাটিতে প্রায় ১ হাজার ৭শ’ ৪২ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৭.৬৫ টন করে প্রায় ১ হাজার ৩শ’ মেট্রিক টন লিচু উৎপন্ন হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাঙ্গামাটিতে দুই ধরনের লিচু চাষ করা হয়, চায়না-২ এবং চায়না-৩। তবে চায়না-২ কম ফলন হয় বলে প্রায় চাষিরা চায়না-৩ লিচুর বাগান করে থাকে। বাজারে চায়না-২ প্রতি একশ’তে ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং চায়না-৩ প্রতি একশ’তে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।’

তবে লিচুর আকার অনুসারে বাজারে আরও কম দামের লিচুও পাওয়া যাচ্ছে। বাজার মূল্য স্বাভাবিক থাকায় আশা করা যায় চাষিরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাবে।

/আরকে

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close