দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি করতেন কাউন্সিলর ‘পাগলা মিজান’
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ম্যানহোলের ঢাকনা চুরির অভিযোগ থেকে শুরু করে খুন ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হাবিবুর রহমান মিজান। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হয়ে সিটি করপোরেশনের ম্যানহোলের ঢাকনাই চুরি করতেন তিনি। তবে এতোকিছু করেও ক্যাসিনোকাণ্ডে নাম আসার আগপর্যন্ত গায়ে হওয়া লাগিয়ে বেড়াতেন ‘পাগলা মিজান’ নামে খ্যাত এই কাউন্সিলর।
জানা যায়, ডাকাত যেমন কচুকাটা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করে তেমনই সিটি করপেরেশনের ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি দিয়ে শুরু হয় পাগলা মিজানের ‘পাগলামি’। মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্প ঘিরে ধীরে ধীরে গড়ে তুলতে শুরু করেন নিজের রাজত্ব। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল এবং বিহারি ক্যাম্পের অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবসার নিয়ন্ত্রক এই মিজান।
তার নামের পাশে যুক্ত হওয়া থেকে বাদ যায়নি খুনের আসামি শব্দ তকমাও। এমনকী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক থাকার সময় চেষ্টা করেছিলেন তাকে খুন করার! সেই মামলার আসামিও পাগলা মিজান।
তবে সব সময় নিজেকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রাখতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন রাজনীতিকে। এক সময় ছিলেন ফ্রিডম পার্টির নেতা। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। সবশেষ ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে হয়েছেন ডিএনসিসির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
শোনা যায়, সম্প্রতি ডিপিডিসির প্রায় ৩২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিহারিদের যে সংঘর্ষ হয়, তার উসকানিদাতাও এই মিজান।
এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান জানান, চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজানকে শ্রীমঙ্গল থেকে আটক করা হয়েছে। তিনি সীমান্ত এলাকা হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এই ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে অনেকে চেনেন ‘পাগলা মিজান’ হিসেবে।
/আরএম