দেশজুড়ে
অনলাইন শপের মাধ্যমে প্রতারণা, সাত সদস্য আটক
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ অনলাইনে ফেসবুকে পেজ খুলে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন পোশাক, গহনা বা ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা জন্য সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সাত যুবককে আটক করেছে র্যাব-৪।
বুধবার (২২ মে) দিবাগত রাতে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এ বিষয়ে আজ (২৩ মে) বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে চক্রটির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, চক্রটি বিভিন্নভাবে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তারা বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের অনলাইনে দেয়া পণ্য সামগ্রীর ছবি ডাউনলোড করে নিজেদের পণ্য হিসেবে চালিয়ে ফেসবুক পেজে আপ করত। কিন্তু সেসব পণ্যের নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দাম দেখে কেউ আকৃষ্ট হয়ে যোগাযোগ করলে চক্রটি প্রথমে সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করত। এরপর হোম ডেলিভারির মাধ্যমে নিম্নমানের পণ্য পাঠিয়ে দিত।
তিনি বলেন, ক্রেতারা কোনো পণ্য অর্ডার করলে, কখনও কখনও মূল্য পরিশোধ করতে বলা হতো। কিন্তু নির্ধারিত মূল্যবান পণ্যের পরিবর্তে সাবান, ভিমবার, আলু, পেঁয়াজ, পটোল প্যাকেট করে পাঠিয়ে দিত। কখনও কোনো পণ্য না পাঠিয়েই কিছু অর্থ আদায় করে পণ্য পাঠিয়েছে বলে দাবি করত। গ্রাহক পণ্য পায়নি দাবি করলে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসে খোঁজ নিতে বলতো এবং পণ্য না পৌঁছানোর জন্য সেসব কুরিয়ার সার্ভিসকে দায়ী করত প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
চক্রটি ২০১৩ সাল থেকে এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তারা প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ না নিলেও বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের কাছ থেকে অল্প অল্প করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত।
র্যাব-৪ এর সিও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে চক্রটির ১৭টি পেজ পেয়েছি। আরও পেজ রয়েছে কি-না বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।