দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
আত্নহত্যার ২২ বছর পর বিচার পেলেন কলেজছাত্রী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: আত্মহত্যার দীর্ঘ ২২ বছর পর বিচার পেল ঢাকার মিরপুর আইডিয়াল কলেজের নিহত দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী রুমান আফরোজ তন্দ্রা। শ্লীলতাহানি, মারধর ও আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় পাঁচ আসামির ১৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক জাবিদ হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, মানিক, রতন, রানা, বাবলা ও মালেকা। তাদের মধ্যে দুজন পলাতক থাকলেও বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে ঢাকার মিরপুর আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী রুমানা আফরোজ তন্দ্রা রংপুরের বরার্টসনগঞ্জ বাবুপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে যান। এ সময় একই এলাকার মানিক, রতন, বাবলা ও রানাসহ বেশ কয়েকজন যুবক মিলে তাকে উত্ত্যক্ত করেন। ঘটনার দিন ১ জুলাই সন্ধ্যায় পাশের দোকানে দিয়াশলাই আনতে গেলে তন্দ্রাকে আসামিরা শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এর প্রতিবাদ করতে তন্দ্রা বাড়ি থেকে কুড়াল নিয়ে এসে আসামিদের ওপর আঘাত করার চেষ্টা করলে আসামিরা তাকে প্রকাশ্যে মারধর করেন। এ সময় তার জামা ছিড়ে দেন এবং অপহরণের চেষ্টা করেন। গ্রামের মানুষের সামনে এভাবে শ্লীলতাহানি ও মারধরের ঘটনায় তন্দ্রা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই দিনই আত্মহত্যা করে।
তন্দ্রার মৃত্যুর ঘটনায় তার মা মাসুদা চৌধুরী বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ২২ বছরের বেশি সময় ধরে ওই মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও চার্জশিট পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার আদালত পাঁচজনকে বিভিন্ন ধারায় অর্থদণ্ডসহ ১৩ বছর করে সাজা দেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম তুহিন জানান, দেরিতে হলেও এই রায়ে বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার পেয়েছেন।