দেশজুড়ে
অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও, নারী পুলিশ ও ইন্সপেক্টর ক্লোজড
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) এক নারী কনস্টেবলের সঙ্গে রিজার্ভ অফিস ইন্সপেক্টর (আরওআই) গোবিন্দ শুক্ল দাসের অনৈতিক সম্পর্কের অশ্লীল ভিডিও’র সত্যতা পেয়ে দু’জনকেই পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় এসএমপি কমিশনার গোলাম কিবরিয়া স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে নারী কনস্টেবল উর্মি ও আরওআই গোবিন্দ শুক্ল দাসকে ক্লোজ করা হয়।
এসএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নৈতিক স্খলনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দু’জনকে ক্লোজ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এরআগে, ১৫ সেপ্টেম্বর কনস্টেবল আশরাফুলের মৃত্যুকে পুলিশ দুর্ঘটনা বললেও স্বজনরা হত্যা বলে অভিযোগ করে। মোবাইল ফোনে আরওআই গোবিন্দ শুক্ল দাসের সাথে আশরাফুলের স্ত্রী উর্মির অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয় একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে। এরপরই নড়েচড়ে বসে এসএমপি পুলিশ। সেদিনই আশরাফুলের সড়ক দুর্ঘটনার মামলা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এরআগে, আশরাফুলের মোবাইলে পাওয়া তার কথিত স্ত্রী ও আরওআই’র অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও ৪ সেপ্টেম্বর এসএমপি কমিশনারের কাছে দিয়ে তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে নিহতের ভাই মনিরুল ইসলাম সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের দাবি জানালেও প্রতিবেদন প্রচার হওয়ার আগে কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।
এঘটনায়, ১৮ সেপ্টেম্বর এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিকে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্ত কমিটি আজ প্রতিবেদন জমা দিলে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ এনে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল এসএমপি। প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়ে বুধবার এসএমপির ১১৬৬(৪৫) নং স্মারকে আরওআই গোবিন্দ শুল্ক দাসকে ও একই দিনের অন্য একটি স্মারকে নিহত কনস্টেবল আশরাফুলের কথিত স্ত্রী নারী কনস্টেবল উর্মিকে ক্লোজ করা হয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে সিলেটে কর্মস্থলে ফেরার পথে হবিগঞ্জের বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান আশরাফুল। কিন্তু তার শরীরে কোনও আঘাত না থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের। পরে মরদেহের সাথে থাকা আশরাফুলের মোবাইল ফোনটি তার পরিবারের হাতে হস্তান্তর করে হাইওয়ে পুলিশ। সেসময় আশরাফুলের ব্যবহৃত মোবাইলে থাকা তিনটি ভিডিও ক্লিপ পরিবারের সদস্যরা দেখার পর আশরাফুলের মৃত্যুকে সড়ক দুর্ঘটনা না হত্যা- এ নিয়ে সন্দেহ হয় পরিবারের কাছে।
এরপর, আশরাফুলের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম এবং তার চাচাতো ভাই শফরকুল ইসলাম গত ৪ সেপ্টেম্বর সিলেটে এসে ৩টি ভিডিও ক্লিপ এসএমপি পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার হাতে তুলে দেন এবং তাদের সন্দেহের কথা জানান। রহস্যজনক কারণে দুই পুলিশ সদস্যের নৈতিক স্থলনের ভিডিও হাতে পেয়েও ১০ দিনে কোনও ব্যবস্থা নেননি এসএমপি কমিশনার।
/আরএম