প্রধান শিরোনামশিক্ষা-সাহিত্য
জিপিএ-৪ হবে জেএসসির সর্বোচ্চ ফল
ঢাক অর্থনীতি ডেস্কঃ ২০২০ সালে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশে জিপিএ-৫-এর পরিবর্তে জিপিএ-৪ প্রবর্তনের কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ২০২১ সালের এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষাতেও এ পদ্ধতি চালু করা হবে।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ-সংক্রান্ত এক কর্মশালা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফলেও জিপিএ-৪ প্রবর্তনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় জিপিএ-৫ না থাকায় এবং দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে জিপিএ-৪-এ ফল প্রকাশ করায় বিদেশে পড়াশোনাসহ চাকরি পেতে সমস্যা হয়। এ সমস্যা মেটাতেই মূলত গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ বা জিপিএ কমানোর কাজ শুরু হয়েছে।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বর্তমানে জিপিএ-৫ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে একধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা কাজ করছে। এটিকে রোধ করতে হবে। এছাড়া জিপিএ-৫ ধরে ফল প্রকাশ করায় বিদেশে চাকরির বাজারেও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে।’
কর্মশালায় জিপিএ-৫-এর পরিবর্তে জিপিএ-৪ প্রবর্তন করলে কী কী সুবিধা-অসুবিধা দেখা দিতে পারে, তা বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিবর্তন করলে পুরো সিস্টেমের পরিবর্তন করা দরকার। এবং সেটি যেন মানসম্মত হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে।
কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায়োগিক পরিসংখ্যান ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন বলেন, শুধু জিপিএ পয়েন্ট পরিবর্তন করলেই হবে না, একই সঙ্গে উত্তরপত্র মূল্যায়নও মানসম্মত করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, আমরা আরও মতামত নিয়ে প্রয়োজনে আগামী বছরের সাময়িক পরীক্ষায় জিপিএ-৪ ধরে ফল প্রকাশ করে দেখতে পারি। এ সময় উত্তরপত্র মূল্যায়নের বিষয়টিও সামনে আসবে।
কর্মশালার শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার পরীক্ষার ফলে জিপিএ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় শুধু জিপিএ-৭ রয়েছে, অন্য দেশগুলোতে জিপিএ-৪।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আয়োজনে এই কর্মশালায় আইইআরের অধ্যাপক এসএম হাফিজুর রহমান ও হোসনে আরা বেগমসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তা, সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের (বেডু) কর্মকর্তারা যোগ দেন।
#এমএস