জীবন-যাপন

হাতের লেখা কিভাবে ভাল করা যায়

রাকিবুল হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক : যদিও হাতের লেখার উপর অতিরিক্ত কোনো নম্বর নেই। তবুও সুন্দর হাতের লেখা শিক্ষকদের মন কাড়ে। আর মন কাড়লে মনে করেন এই ছাত্র বা ছাত্রী ভাল শিক্ষার্থী। দেই একটু বেশি করে নম্বর। আমাদের দেশে এমন অনেক শিক্ষক বা শিক্ষিকা আছেন যারা ভালোভাবে খাতা না দেখেই, সুন্দর হাতের লেখার উপর নম্বর দেন। এটা অপ্রিয় হলেও সত্যি।

নিশ্চিত ভাল ফলাফল পেতে আর বন্ধু মহলে বাহবা পেতে সুন্দর হাতের লেখার জুড়ি নেই। দীর্ঘ ৩৬ বছর চর্চা করে ৬৮০ ধরনের সুন্দর হাতের লেখার ধারণা তৈরি করেছেন এইচ এম জারিফ। তিনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি হাতের লেখা বিভাগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা প্রধান প্রশিক্ষক।

হাতের লেখা সুন্দর করার ক্ষেত্রে এইচএম জারিফের কিছু পরামর্শ:

এক প্যারা থেকে আরেক প্যারার মাঝে এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখা ভালো।

বাঁয়ে এবং ওপরে সোয়া এক ইঞ্চি ফাঁকা রাখলে হাতের লেখা সুন্দর দেখায়।

লেখার সময় ভুল হলে ওটার ওপরে হাত না ঘুরিয়ে একটানে কেটে আবার লেখা উচিত।

যাদের হাত ঘামে তাদের জন্য রাবার যুক্ত কলম ভালো।

প্রি প্রাইমারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে হাতের লেখা দ্রুত করার দিকে জোর না দিয়ে সুন্দর করার ওপর জোর দেয়া উচিত। এদের জন্য ইংরেজী, বাংলা যাই হোক না কেন লাইন টানা খাতায় লেখার চর্চা করানো দরকার।

প্রাইমারী পর্যায়ে হাতের লেখা পরিস্কার ও সুন্দর করার পাশাপাশি দ্রুত করার ওপরও জোর দেয়া দরকার। আর অক্ষরগুলো যেন খুব ছোট না হয়ে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা দরকার।

প্রাইমারী পর্যায় পেরোনার পর হাতের লেখা আরেকটু ছোট করা যেতে পারে। প্রতি পৃষ্ঠায় ১৪-১৫ লাইন লেখা যেতে পারে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি পৃষ্ঠায় ১৮-২০ লাইন লেখার পরামর্শ দেন এইচএম জারীফ। তাঁর মতে এ পর্যায়ে হাতের লেখা মৌলিক নিয়ম মেনে হতে হবে তা নয়। কিন্তু খাতা দেখে পড়তে যাতে অসুবিধা না হয়, পরীক্ষকের যাতে বিরক্তি না আসে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close