দেশজুড়েশিক্ষা-সাহিত্য

ছাত্র সেজে ক্লাসরুমে ইউএনও

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শ্রেণিকক্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষক। সব ছাত্রই স্কুল ড্রেস পড়া। হঠাৎ বিদ্যালয়ের পিছনের ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেন আরও এক ছাত্র।

পড়নে সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট। শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করলেন তিনি। শেষ বেঞ্চে বসা এই শিক্ষার্থীর বয়স একটু বেশি হওয়ায় বেশ কৌতূহলী হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকও রীতিমত হতাশ।

এই শিক্ষার্থীকে নিয়েই ক্লাসরুমে পাঠদান করালেন শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক। সময় তখন বেলা ১১টা। এরই মধ্যে বিদ্যালয়জুড়ে হৈ চৈ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মিঠু এসে দেখলেন ওই শিক্ষার্থী গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন।

এই কর্মকর্তা মঙ্গলবার প্রথমে নাটোরের গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও পরে বেগম রোকেয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছদ্মবেশে ঝটিকা অভিযান চালান। তার উপস্থিতি বদলে দিয়েছে বিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি- বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অমনোযোগী হয়ে পড়েছেন। অথচ একই শিক্ষার্থীদের কোচিং করান ঠিকই। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। মূলত এ সব বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য ছদ্মবেশী ঝটিকা অভিযান চালানো হয়েছে।

তিনি জানান, তিনি গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্লাস করেছেন। এ সময় শ্রেণিকক্ষের শিক্ষকদের সঙ্গে পাঠদানের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া বেগম রোকেয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে দেখেন, সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের বিকট শব্দে পাশের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাস চলাকালীন শিক্ষকের বক্তব্য শুনতে পায় না। এতে শিক্ষার্থীদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন ইউএনও।

এ সময় বিদ্যালয়গুলোতে বাল্যবিয়ে ও উত্ত্যক্ত রোধে আলোচনা করা হয়। আগামীতে এ অভিযান অব্যাহত রাখার অভিমত ব্যক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close