বিশ্বজুড়ে
আসামের ১৪ লাখ বাসিন্দাকে বাংলাদেশে ঢুকানোর হুমকি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ এনআরসি-তে আসামের ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ পড়েছে। আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছেন, ১৪ লাখ মানুষ বেআইনিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন। ওই ১৪ লাখ মানুষকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান, এ বিষয়ে আপোষের পথে হাঁটবে না আসামের বিজেপি সরকার।
শনিবার (৩১ সেপ্টেম্বর) ভারতের আসামে চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) প্রকাশিত হওয়ার পরে এমনই বার্তা দিয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আর এরপরেই সেখানে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।
তিনি বলেছেন, ১৪ লাখ বেআইনি শরণার্থীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
জানা গেছে, ওই তালিকা থেকে বাদ যাওয়া ১৯ লাখ শরণার্থী আবার তাঁদের নথি জমা দিয়ে তালিকায় নাম তোলার আবেদন জানাতে পারবেন। আর এই আবেদন করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
এদিকে, এনআরসি তালিকা থেকে ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ পড়া নিয়ে গতকালই তীব্র আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটে এনআরসির সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, কোনোভাবেই এই অন্যায় মেনে নেওয়া যাবে না। পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি।
মমতার ওই বক্তব্যের পাল্টা জবাবে হিমন্ত অভিযোগ করেছেন, মমতা এনআরসির বিরোধিতা করছেন। কারণ তাঁরা তাঁর ভোট ব্যাঙ্ক।
হিমন্তের এই বক্তব্যের পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আসামে। তালিকা থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ বাসিন্দা আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে আসামের সংবাদমাধ্যম যুগশঙ্খ জানিয়েছে, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল খালেক।
এনআরসি তালিকা প্রকাশ পেতেই কেন্দ্র ও রাজ্য বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন আসামের বরপেটার কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল খালেক। এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে অপমান করেছেন বলে তার পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও শিলাদিত্য দেবকে রাজনীতির পরিবেশ দূষণকারি হিসেবেও কটাক্ষ করেন তিনি।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে খালেক বলেছেন, ভারতের মাটিতে আশ্রিত বাংলাদেশীরা এদেশেই থাকবেন।
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া, যুগশঙ্খ