দেশজুড়েপ্রধান শিরোনামসাভার
টিআইবির উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করে জাবি প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মহলকে সহযোগিতার আহ্বান
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রমে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগকে ‘কল্পিত ও মনগড়া’ আখ্যা দিয়ে শনিবার (৩১ আগষ্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের একটি অংশের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে টিআইবি যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করে এ ধরনের বিবৃতি দেওয়া সমীচীন নয়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় তথা জাতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টিআইবির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে।
শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নির্মাণকে কেন্দ্র করে ছাত্র-শিক্ষকদের একটি অংশের অসত্য অভিযোগ উত্থাপন, নির্মাণকাজ বিলম্বিত অথবা বন্ধ করার অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়কে আমূল বদলে দেওয়ার জন্য ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ৬টি আবাসিক হল, ৪টি একাডেমিক ভবন, ১টি লাইব্রেরি, ১টি প্রশাসনিক ভবন, ১টি স্পোর্টস কমপ্লেক্স, ১টি লেকচার হল কাম পরীক্ষা হল, ১টি প্রভোস্ট কমপ্লেক্স, ১টি হাউস টিউটর ভবন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ৫টি আবাসিক ভবন, ১টি অতিথি ভবন, শহীদ রফিক জব্বার হলের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, ২টি খেলার মাঠ, জহির রায়হান মিলনায়তন, সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ ও ১২টি পুরোনো হলের সংস্কার করা হবে। এসব স্থাপনার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৬টি আবাসিক হলের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, এই উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার আওতায় যেসব নির্মাণকাজ রয়েছে, সেগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাই, ডিজিটাল সার্ভে, মাস্টারপ্ল্যান, স্থান নির্বাচন, মাটি পরীক্ষা, স্থাপনাগত নকশাসহ সব স্তরের কাজ বুয়েটের অধ্যাপক শেখ আহসান উল্লাহ মজুমদারের নেতৃত্বে সম্পন্ন হয়েছে। এই টিমে আরও আছেন বুয়েটের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ, পরিকল্পনাবিদ সামিনা মজুমদার, স্থাপত্যবিদ মাহেরুল কাদের প্রিন্স ও ফাতেমা তাসমিয়া। এছাড়া, বুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনাবিদদের আরও একটি টিম এই উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছে। এই টিমে ছিলেন অধ্যাপক আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে অপূর্ব কে পোদ্দার, স্থপতি আহাম্মেদ আল মোহায়মেন ও নয়না তাবাসসুম। এই স্টাডি গ্রুপে পরিবেশবিদ, প্রাণিবিদ্যাবিদ, ভূগোলবিদ, ইকোনমিকস এক্সপার্ট ও স্থাপত্যবিদেরা রয়েছেন। এই মহাপরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের মাধ্যমে একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে।
উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার বর্তমান প্রকল্পটির স্বচ্ছতার কোনো ঘাটতি নেই দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মহলকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।