দেশজুড়ে
মিয়ানমারে ফিরতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্তি শুরু
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মিয়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্তির কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শুরু করছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কর্মকর্তারা। রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে যেতে মানসিকভাবে তৈরি করার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি নিতে এনজিওসহ বিভিন্ন সংস্থাকে পরামর্শও দিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
সোমবার (১৯ আগস্ট) শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রাথমিক কাজ।
এদিকে, রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তারাও রাখাইনে ফিরতে রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। টেকনাফের চারটি রোহিঙ্গা শিবিরেই গতকাল সোমবার একযোগে শুরু হয়েছে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ ফিরতে উদ্বুদ্ধ করার কাজ।
রোহিঙ্গাদের জানানো হচ্ছে, তারা যদি দেশে ফিরে না যায়, তাহলে তাদেরকে জোর করে পাঠানো হবে না। রোহিঙ্গাদের এমন ধারণা দেওয়ার কারণেই শিবিরগুলো এক প্রকার শান্ত।
টেকনাফ ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের দায়িত্বে থাকা সহকারী ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজাহান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আগের চেয়ে এখন অনেক সহনশীল। তারা আগে যে রকম অস্থির প্রকৃতির ছিল, সেটা অনেকটাই কেটে উঠেছে। এখন তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলে বোঝে।’ আগে প্রত্যাবাসনের কথা শুনলেই রোহিঙ্গারা লাফিয়ে উঠত। কিন্তু এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে শিবিরগুলোতে আগে যে অস্থিরতা বিরাজ করত, সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই।
জানা গেছে, টেকনাফের চারটি শিবিরের তিন হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ফিরতে ছাড়পত্র দিয়েছে। টেকনাফের ২৩, ২৪, ২৬ ও ২৭ নম্বরের এই চারটি শিবিরের রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে যদিও এখনো কোনো ইতিবাচক কথা তাদের মুখ থেকে শোনা যায়নি, তবু তারা আগের কঠোর অবস্থান থেকে নমনীয় হয়েছে।