প্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

বাড়ির ছাদে হেলিকপ্টার নামানোর অনুমতি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আবাসিক ভবনের ছাদে হেলিকপ্টার নামাতে হেলিপ্যাড করার অনুমতি দেবে বেসামরিক বিমান চলাচল  কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে ভবনটি অবশ্যই হেলিকপ্টার নামার উপযোগী হতে হবে। এজন্য বুয়েট থেকে প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট নিতে হবে। সার্টিফিকেট ছাড়া হেলিপ্যাড স্থাপনের অনুমতি দেয়া হবে না। এছাড়া দেশের যেকোনো খোলা জায়গা হেলিপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

এ-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। পাশাপাশি বেসরকারি খাতে হেলিপোর্ট নির্মাণের অনুমতি দেয়া হবে। এজন্যও নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। গতকাল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে নীতিমালা তৈরি নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে নীতিমালার খসড়া যাচাই-বাছাই করা হয়।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশনস) উইং কমান্ডার চৌধুরী এম জিয়াউল কবির এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, হেলিপোর্ট নির্মাণ ও হেলিপ্যাড স্থাপন নীতিমালার একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যেটি চূড়ান্ত করতে প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে। আরো যাচাই-বাছাই শেষে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে ব্যক্তিগত বাড়ির ছাদে হেলিপ্যাড স্থাপনের উপযোগী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবেন।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে বেসরকারি খাতে হেলিপোর্ট ও অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ। এরপর বেবিচকের পক্ষ থেকে প্রাথমিক পরিদর্শন হয়। এর পরই হেলিপোর্ট নির্মাণে নীতিমালা তৈরির ওপর জোর দেয় বেবিচক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে বেসরকারি হেলিকপ্টার প্রতিষ্ঠানগুলো মোট ২ লাখ ১৯ হাজার ২৯৭ বর্গফুট জায়গায় তাদের হ্যাঙ্গারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাণিজ্যিকভাবে বর্তমানে আটটি কোম্পানি হেলিকপ্টার ব্যবসা করছে। এগুলো হচ্ছে— শিকদার গ্রুপের আরঅ্যান্ডআর এভিয়েশন, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস, বিআরবি এয়ার, মেঘনা এভিয়েশন, পারটেক্স অ্যারোটেকনোলজি, স্কয়ার এয়ার, বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ ও সাউথ এশিয়ান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক হেলিকপ্টার রয়েছে শিকদার গ্রুপের। বিভিন্ন মডেলের সাতটি হেলিকপ্টার রয়েছে তাদের।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম বাণিজ্যিক হেলিকপ্টার সেবা চালু করে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস। ২০০৮ সাল পর্যন্ত মাত্র দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ সেবা প্রদান করত। বর্তমানে লাইসেন্স পাওয়ার অপেক্ষায় আছে আরো বেশ কয়েকটি কোম্পানি। প্রতিদিনই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল এভিয়েশন হ্যাঙ্গার থেকে যাত্রীরা হেলিকপ্টারে ওঠেন এবং এখানেই অবতরণ করেন।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close