বিশ্বজুড়ে
নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ২ দিন পর জীবিত ফিরলেন বৃদ্ধ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ অলৌকিক এক কাণ্ড ঘটালেন ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। সবার চোখের সামনেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তলিয়ে গেলেন তিনি।
স্বজনরা যখন তার মরদেহ উদ্ধারের কথা ভাবছেন, তখন দুদিন পর সবাইকে অবাক করে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরেন ওই ব্যক্তি।
সম্প্রতি এ চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্নাটকের নানজাংগুড এলাকায়। খবর এনডিটিভির
আর এমন অভিনব কাণ্ডটি করে দেখান ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধ ভেঙ্কাটেশ মুর্থি।
এনডিটিভি জানায়, সপ্তাহখানেক আগে কাবিনি বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় কর্নাটক রাজ্যের নানজাংগুড এলাকা। এরই মধ্যে শনিবার (১০ আগস্ট) ফুলেফেঁপে ওঠে নদীর পানি। আর এমন খরস্রোতা নদীতে হেজ্জিজ ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেন ভেঙ্কাটেশ মুর্থি।
তাকে সাহায্য করতে দ্রুত দড়ি ছুড়ে দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু প্রবল স্রোতে দড়ি আর ধরা হয়নি ভেঙ্কাটেশের। মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যান তিনি। তার সেই দুঃসাহসিক কর্মটির ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
পরিবার-পরিজনসহ অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন, আর বেঁচে ফিরবেন না ভেঙ্কাটেশ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ভেঙ্কাটেশের নাম বন্যায় মৃতের তালিকায় যোগ করেও দিয়েছিল।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে দুদিন পর অর্থাৎ সোমবার (১২ আগস্ট) সুস্থ-সবল দেহে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফেরেন ভেঙ্কাটেশ।
ভেঙ্কাটেশের বেঁচে ফেরার বিষয়টি জানলে অবাক হয়ে স্থানীয় থানা পুলিশও তাকে দেখতে ছুটে আসেন।
বিষয়টিকে অলৌকিক বলে সবাই মনে করলেও বৃদ্ধ ভেঙ্কাটেশের বোন মনজুলা মোটেই অবাক হননি।
কারণ তিনি ছোটবেলা থেকেই জানতেন ভেঙ্কাটেশের এমন কীর্তির বিষয়টি।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এটিই প্রথম নয়। গত ২৫-৩০ বছর ধরে আমার ভাই এভাবে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেত। কয়েক ঘণ্টা পর আবার ফিরে আসত সুস্থ দেহেই। তবে এবারই সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে নিরাপদে ফিরে আসতে।
এ বিষয় ভেঙ্কাটেশ জানান, এবার ব্রিজের পিলারে আটকে গিয়েছিলাম। তাই দুদিন লেগে গেছে।
তিনি যোগ করেন, এবার স্রোত খুব বেশি থাকায় ব্রিজের পিলার ধরে ফেলি। আর সেখানকার আগাছায় আটকা পড়ে যাই। কোনোমতে ব্রিজের একটি কুঠুরিতে উঠতে সক্ষম হই। কিন্তু স্রোতের জন্য সেখান থেকে সাঁতরে ডাঙায় উঠতে পারছিলাম না। প্রায় ৬০ ঘণ্টা আটকে ছিলাম সেখানে। পরে স্রোত অনুকূলে এলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি।’
জানা যায়, ভেঙ্কাটেশের এমন কীর্তি শুধু এ বেলায় নয়, সাইকেল চালিয়ে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ভ্রমণ করেছেন তিনি। চমকপ্রদ কাণ্ড করে মানুষকে চমকে দিতে ভালোবাসেন ভেঙ্কাটেশ।
/আরএম