দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

সাঘাটায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১৪

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক:গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ২০টি মোটরসাইকেল।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সাঘাটা বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক আর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলাজুড়ে।

সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ তুলিফের নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মী মিছিলের পেছন থেকে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ জামায়াতে নেতাদের।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঘুড়িদহ ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ বলেন, জামায়াতের নেতা-কর্মীই তাদের ওপর হামলা করে মোটরসাইকেল ভাঙচুর চালান।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে উপজেলা জামায়াত নেতা-কর্মীরা লাঠি হাতে মিছিল বের করেন। মিছিলটি সাঘাটাবাজার এলাকায় এলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জামায়াতে নেতা-কর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় অন্তত ২০টি মোটরসাইকেল। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।

হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত দাবি করছেন সাঘাটা উপজেলা যুব বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বী।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে করা মিছিলের পেছন থেকে হামলা করে বিএনপি নেতা তুলিফসহ তার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা। হামলায় অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত শফিকুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, আশাদুল ইসলামসহ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুধু হামলাই নয়, নেতা-কর্মীদের ১৮টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর বিএনপি নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতেও জামায়াতের এক কর্মীকে মারধর করে বিএনপির নেতারা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও ঘুড়িদহ ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ তুলিফ। তিনি বলেন, লাঠি হাতে জামায়াতের মিছিলের সময় সড়কের পাশে নেতাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা আমাদের ওপর হামলা করে এবং দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। হামলায় আমিসহ আমার ১০ জন লোক আহত হয়েছি।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, হামলার ঘটনায় উভয়দলের ১০ নেতা-কর্মী আহত ও পাঁচ-সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close