শিল্প-বানিজ্য

৯৭২টি অবৈধ কুরিয়ার সার্ভিস বন্ধের নির্দেশ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত ৯৭২টি কুরিয়ার সার্ভিস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ একই সঙ্গে আর্থিক লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঘুষ আদান-প্রদান নিয়ন্ত্রণ ও মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকি নিরসন সংক্রান্ত বৈঠকে এসব নির্দেশ দেয়া হয়।

ওই বৈঠকে এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অবৈধ আর্থিক লেনদেন বন্ধ করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবকে মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

মনিটরিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব (ব্যাংক) ফজলুল হক সংবাদমাধ্যমে বলেন, আইনসিদ্ধভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স নিতে হবে। কারণ ইতিমধ্যে সন্ত্রাসীরা এ চ্যানেল ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন করছে।

তিনি বলেন, যে কোনো আর্থিক লেনদেন ব্যবসা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া করা যায় না। কুরিয়ার সার্ভিসগুলো আর্থিক লেনদেন করছে। কাজেই তাদেরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে।

সূত্রমতে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঘুষ আদান-প্রদান নিয়ন্ত্রণ ও মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকি নিরসন সংক্রান্ত বৈঠকটি হয়। সেখানে কুরিয়ার ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কর্তৃপক্ষগুলো উপস্থিত ছিল।

বৈঠকে বলা হয়. বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান আর্থিক লেনদেন করলে সেটি অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

বৈঠকে কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ জানান, দেশে বর্তমান ১১শ’ কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্স রয়েছে ১২৮টি প্রতিষ্ঠানের। লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৬টি পরিচালনা হচ্ছে পণ্য আদান-প্রদানে এবং ৮টি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান। তিনি অবৈধ কুরিয়া সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করতে বলেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে তাদের গ্রাহকদের এনআইডির তথ্য যাচাই-বাছাই করতে পারে সে বিষয়ে বিটিআরসিকে উদ্যোগ নিতে হবে। এদের কার্যক্রম পরিচালনায় যাতে মানি লন্ডারিং বা কোনো অবৈধ লেনদেন না হয়, সে বিষয়ে ডাক বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close