দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
৬৮ কোটি টাকার ‘লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর’ পড়ে আছে অযথাই
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই বিশ্বে দুর্যোগ ঝুঁকির তালিকায় পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির শঙ্কায়ও রয়েছে বাংলাদেশ। বন্যা, খরা ও ঘূর্ণিঝড় আমাদের নিত্যসঙ্গী। এর মধ্যে কয়েক বছর ধরে আরেকটি দুর্যোগ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। এটি হলো বজ্রপাত। বিশ্বে বছরে বজ্রপাতে যত মানুষ মারা যাচ্ছে, তার প্রায় অর্ধেকই ঘটছে বাংলাদেশে। বজ্রপাতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বাংলাদেশে। তাই বিশ্লেষকরা বলছেন, “বজ্রপাতের ‘ডেড জোন’ এখন বাংলাদেশ।”
সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম সংবাদপত্রের তথ্য পর্যালোচনা করে জানিয়েছে, চলতি বছরে গত দুই মাসে বাংলাদেশে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন ১২৬ এবং আহত হয়েছেন ৫৩ জন। বর্ষা মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই বজ্রপাতে প্রাণহানি ঘটছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বজ্রপাতের আগাম সতর্কবার্তা দিতে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালে দেশের আটটি স্থানে লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর স্থাপন করা হয়। বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ এসব রাডার ঢাকা, চট্টগ্রাম, পঞ্চগড়, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা এবং পটুয়াখালীতে স্থাপন করা হয়। কারিগরি দক্ষতার অভাবে রাডারগুলো কোনো কাজে আসছে না।
এ বিষয়ে রাডার বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেওয়া এবং রাডার পরিচালনা বা তথ্য সংগ্রহের দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন জনবল আবহাওয়া অধিদপ্তরে নেই। ফলে রাডারগুলো কোনো কাজে আসছে না। যুক্তরাষ্ট্রের রাডার কোম্পানি প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন তাদের এজেন্টদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অযত্নে অবহেলায় রাডারগুলো নষ্ট হচ্ছে। রাডার স্থাপনের আগে বলা হয়েছিল, বজ্রপাতের ১৫ মিনিট আগেই তথ্য জানা যাবে। মোবাইল ফোনে ১৫ মিনিট আগেই ওই এলাকার মানুষকে বজ্রপাতের তথ্য জানিয়ে দেওয়া যাবে।
/আরএম