দেশজুড়ে
৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, যুবক গ্রেফতার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট এলাকায় ৫ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ, সেই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ এবং এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে আরো একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মিজানুর রহমান (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সোনাহাট স্হলবন্দর এলাকা থেকে মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ওই যুবককে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আদালত সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ওই শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে মিজানুর রহমানকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের মনছুর মিয়ার পুত্র। সে বিবাহিত এবং ২ সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় মুদির দোকান করতো। এ অবস্হায় প্রায ১ মাস আগে দোকানের সামন দিয়ে ওই শিক্ষার্থী যাওয়ার মিজানুর তাকে ফুসলিয়ে দোকানের ভেতর ডেকে নিয়ে গলায় ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, এই ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলতে হুমকি দেয়। এছাড়া একই ভয় দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থী আরো একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কুতু্ব নামের স্থানীয় এক যুবক মিজানুরের মোবাইলে সংরক্ষিত ভিডিওটি দেখে ফেলার পর ঘটনাটি ওই শিক্ষার্থীর পিতাকে জানায়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেলের দিকে শিক্ষার্থীটির পরিবারের লোকজনের সাথে মিজানুরের পরিবারের লোকজনের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে শিক্ষার্থীর পিতা খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিজানুরকে গ্রেফতার করে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষণের ভিডিও ধারণের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সত্যতা পাওয়া গেলে এ ব্যাপারেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।