ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ একটি নবজাতকের ওজন থাকে সাধারণত আড়াই থেকে সাড়ে চার কেজি। সেখানে ভারতে আধা কেজিরও কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে এক শিশু। বলা হচ্ছে, দেশটিতে জন্ম নেওয়া ‘সবচেয়ে ছোট’ আকারের শিশু সে। তবে জন্মের পর বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয় থাকলেও চিকিৎসকদের চেষ্টায় সুস্থভাবেই মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছে শিশুটি।
ভারতের সবচেয়ে ছোট আকারের এই শিশুর জন্ম হয়েছে মহারাষ্ট্রের পুনেতে। জন্মের সময় তার ওজন ছিল মাত্র ৪০০ গ্রাম। উচ্চতা ছিল মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার। শিশুটি মাতৃগর্ভে ছিল মাত্র ২৪ সপ্তাহ। যেখানে সাধারণত প্রায় ৪০ সপ্তাহ শিশুরা মায়ের গর্ভে থাকে।
পুনের এই নবজাতক একটি মেয়েশিশু। তার নাম রাখা হয়েছে শিবান্য। শিশুটির মা উজ্জ্বলা পেশায় তথ্য-প্রযুক্তিকর্মী। শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় গর্ভধারণের ২৪ সপ্তাহের সময় তিনি পুনের চিঞ্চওয়াড়ের একটি নার্সিং হোমে ভর্তি হন। সেখানেই শিবান্যের জন্ম হয়। জন্মের পরই তাকে নার্সিং হোম থেকে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেই হাসপাতালে মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ ৯৪ দিন কাটায় শিবান্য। অপুষ্ট সন্তানটি বাঁচবে এমন আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন মা উজ্জ্বলা। চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টার পর যখন শিশু শিবান্যকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় তখন তার ওজন ছিল দুই কেজি ১৩ গ্রাম, অর্থাৎ জন্মের সময়ের পাঁচ গুণ।
উজ্জ্বলা জানান, শিবান্যের চিকিৎসায় হাসপাতালে ২১ লাখ রুপি খরচ হয়েছে তাঁদের। ভারতে এই প্রথম এত কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হলো। ২০১৯ সালে আহমেদাবাদের এক হাসপাতালে গর্ভের ২২ সপ্তাহে এক শিশুর জন্ম হয়। তার ওজন ছিল ৪৯২ গ্রাম।
মা উজ্জ্বলা বলেন, ‘মেয়েকে যখন প্রথম দেখি তখন ওর চোখ বড় বড় করে খোলা ছিল। চোখ দেখেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম ও বাঁচবে। জীবনের লড়াইয়ে জিতে যাবে। তা-ই হয়েছে।
/আরএম