দেশজুড়ে
৩ জীবিত ব্যক্তিকে ‘মৃত’ ঘোষণা!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য তিনজন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে তাদের স্থলে একই গ্রামের অন্য তিন ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চাকদহ এলাকায়।
যাদের মৃত দেখানো হয়েছে তারা হলেন চাকদহ গ্রামের পূর্ণ চন্দ্র সরকার, খুশি মোহন ও আরজু মিয়া।
এদিকে ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হাশেম মিয়া ওই চাকদহ গ্রামের উপজাতির নাম ভাঙিয়ে ভাতা তুলে নিজেই আত্মসাৎ করে আসছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া ওই ইউনিয়নের ইউপি সচিব মো. মোশারফ হোসেন তার বদলির আদেশ তৃতীয়বারের মতো স্থগিত করেছে বলে এ নিয়ে ইউপি মেম্বার ও সাধারণ জনগণের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা চলছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রায় এক বছর আগে তাদের বয়স্ক ভাতা বন্ধ হলে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানতে পারে তাদেরকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের স্থলে নতুন করে ওই এলাকার মো. রবি মল্লিক পিতা মৃত রাজ্জাক মল্লিক, মো. এরশাদ মল্লিক পিতা মৃত নূর মল্লিক ও রহমান শিকদার পিতা মৃত মাজম শিকদারকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ ঘটনা টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ইউপি সদস্য বলেন, প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে মোশারফ হোসেন এই পরিষদের সচিব হিসেবে যোগদান করে জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদসহ নানা ধরনের কাজের জন্য জনগণের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছে। জনগণ আমাদের কাছে অভিযোগ করে এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন ওই সচিব।
বদলির আদেশ স্থগিত করার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, আমার বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। বিভিন্ন সনদ নিতে জনগণের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। জীবিত ব্যক্তিদের মৃত দেখিয়ে ভাতার কার্ড প্রসঙ্গে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তাই ভালো বলতে পারবে।
দুইবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. হাশেম মিয়া বলেন, এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এ ঘটনায় চক্রান্ত করে আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
/আরএম