বিশ্বজুড়ে
২৫০ শিশু-কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করেছে চিকিৎসক
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ফ্রান্সের অবসরপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উঠেছিল চারজন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ। কিন্তু তদন্ত শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, প্রায় আড়াইশ শিশু-কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করেছেন ওই চিকিৎসক। অভিযোগ প্রমাণ হলে এটি ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হবে।
জানা গেছে, অভিযুক্তর নাম জোয়েল লে স্কোয়ারনেক। বয়স ৬৮ বছর। এক প্রতিবেশী শিশুকে ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চলতি বছরের মার্চ মাসে বিচার শুরু হয় তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ উঠেছে তা তিন দশকের পুরনো। সেই সময় হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন ওই চিকিৎসক।
২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ ওঠে। ছয় বছরের এক শিশুকন্যার বাবা-মা অভিযোগ করেন, ওই চিকিৎসক তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন। এরই পাশপাশি আরো দুই নাবালিকা আত্মীয়া ও এক তরুণী রোগীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগ ওঠার পর শুরু হয় তদন্ত। ওই সময়ই চিকিৎসকের গোপন ডায়েরির সন্ধান মেলে। ওই ডায়েরিগুলোতে অভিযুক্ত চিকিৎসক লিখে রেখেছেন, নিজের যৌন অপরাধের ধারাবাহিক বিবরণ।
সিটি অব লা রোচেলের সরকারি কৌঁশুলি বলেন, ২৫০ নাবালিকা-কিশোরী আক্রান্তের কথা উঠে এসেছে দ্বিতীয় পর্যায়ের তদন্তে। এদের মধ্যে ২০৯ জনের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কথা বলার সুযোগ পেয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে কেউ কেউ যথাযথভাবে সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।
অভিযুক্তের আইনজীবীরা চেষ্টা করছিলেন ঘটনাগুলো ওই চিকিৎসকের মনগড়া ‘ফ্যান্টাসি’। কিন্তু ১৮৪ জনের মধ্যে ১৮১ জন, ঘটনার সময় যারা নাবালিকা ছিল, তারাও ওই চিকিৎসকের নামে অভিযোগ করেছেন। সেখানে তারা তাদের সঙ্গে কী কী হয়েছে তা বিস্তারে জানিয়েছেন।
ডায়েরি ছাড়াও ওই চিকিৎসকের বাড়ি থেকে শিশু পর্নোগ্রাফির ছবি ও সেক্স টয় পাওয়া গেছে। দোষী সাব্যস্ত হলে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে অভিযুক্তের।