প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে

২৪টি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ করছে ভারত

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন ২৪টি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। শুক্রবার দেশটির পারমাণবিক জ্বালানি সচিব কেএন ভিয়াস জানিয়েছেন, সাতটি চুল্লির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আরও ১৭টির নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনপিসিআইএল) এসব চুল্লি নির্মাণ করবে।

গত বছর ২০৩০ সালের মধ্যে ২৪টি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করে ভারতের পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থা। এসব চুল্লির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান পারমাণবিক জ্বালানি সচিব কেএন ভিয়াস। ভারতের এনার্জি ফোরামে কেএন ভিয়াস বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছি, সেকারণে নির্মাণ ব্যয় কমছে আর কাজে গতি আসছে।’

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতই প্রথম গবেষণা চুল্লি নির্মাণ করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক জ্বালানি খাতে ভারত পুরনো খেলোয়াড়। আমাদের শেখার পথ ছিলো কষ্টসাধ্য কিন্তু গত কয়েক দশকে আমরা পারমাণবিক চুল্লির সংখ্যা ২২টি বাড়াতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি জানান, বর্তমানে পারমাণবিক জ্বালানির চুল্লির সংখ্যায় বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম দেশ ভারত।

ভারতের সামগ্রিক বিদ্যুৎ গ্রিডে পারমাণবিক বিদ্যুতের অবদান সীমিত। এর কারণ জানিয়ে কেএন ভিয়াস বলেন, আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়াই এই জটিল প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা পেতে প্রাথমিকভাবে কিছু ছোট আকারের চুল্লি নির্মাণ করা হয়।

এনার্জি ফোরামে অংশ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, পারমাণবিক জ্বালানির ব্যবহার নিয়ে জনগণের মধ্যকার ভুল ধারণা ভাঙতে সচেতনতা বাড়ানো দরকার। তিনি বলেন, ভারতের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটানোর একটি উৎস হলো পারমাণবিক জ্বালানি। আর এটি মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাপন সহজ করার একটি উপায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পারমাণবিক জ্বালানি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অনিল কাকোদকার বলেন, ইউরেনিয়াম আমদানি বাড়ালে পারমাণবিক কর্মসূচির আকার বাড়ানো যাবে পাশাপাশি বড় আকারে থোরিয়ামও মোতায়েন করা যাবে।

#এমএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close