দেশজুড়ে

২০২৯ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার টার্গেট করেছে বিএনপি!

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ঈদের পরে কঠোর আন্দোলনে যাবার ডাক দিয়ে আসছিলো বিএনপি। ২০১৪ সালের পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ১০টি ঈদ পার হলেও এখনো কোনো আন্দোলন তো দূরের কথা ছোটখাটো মিছিল ছাড়া কিছুই করতে পারেনি বিএনপি।

এমতাবস্থায় দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ফের ঈদুল ফিতরের পর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। যদিও খোদ বিএনপির একাধিক নেতার ধারণা ২০১৯ এর ঈদের পরেও কোনো আন্দোলনই দাঁড় করাতে পারবে না বিএনপি।

এই বিষয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মূলত সমন্বয়হীনতার অভাবেই আমরা আন্দোলন করতে পারছি না। দলের সিনিয়র নেতারা তারেক রহমানের নির্দেশে এক রকম সিদ্ধান্ত নেয়, আবার মির্জা ফখরুলরা নেন ভিন্ন সিদ্ধান্ত। নতুন করে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের ভিন্ন সিদ্ধান্ত যোগ হওয়ায় আমাদের নেতৃত্বে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এসব সমস্যা উৎরাতে পারলেই বিএনপি কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে বলে আশা করছি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন বক্তব্যে খানিকটা হতাশা প্রকাশ করে দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, গয়েশ্বর সাহেব যতোই বলুক না কেন, বিএনপি আর সেই আগের অবস্থানে নেই। ১০ বছরে আগে বিএনপি যে অবস্থায় ছিলো এখনো ঠিক একই অবস্থায় আছে। মনে করেছিলাম ঐক্যফ্রন্টের কারণে দলের শক্তি বাড়বে। কিন্তু তা হয় নি। ফলে সব দিক থেকেই আমরা পিছিয়ে আছি। এমতাবস্থায় আন্দোলন তো দূরের কথা, অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বিএনপি। ফলে ঈদের পরে কঠোর আন্দোলনে যাবার স্বপ্ন কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তা আমার মাথায় ধরছে না।

বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত। যদি এমন না হতো, তাহলে আমরা সকলে মিলে ৩০ টাকার ইফতারি করতে পারতাম না। আমি স্বীকার করছি, বিএনপিতে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। তবে আমরা তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। আশা করছি ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা আমাদের সব সমস্যার সমাধান করে গুছিয়ে উঠবে। এছাড়া আমরা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার জন্য এখনো প্রস্তুত হইনি। ইনশাআল্লাহ ২০২৯ সালের নির্বাচনে বিপুল ম্যান্ডেন্ট নিয়ে আমরা ফের ক্ষমতায় আসতে পারবো।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close