ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ২০১৯ সালে সারা বছর জুড়েই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর জায়গা নিয়েছিলো বিশ্বের সব গণমাধ্যমগুলোতে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় বহু মানুষ। বিশ্বে আলোড়ন তোলে দাবানলের ঘটনাগুলো।
বছরের শুরুর দিকেই মার্চ মাসে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় ইদাই আঘাত হানে৷ এতে মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়ে ও মালাউইতে ১৩ শ’রও বেশি মানুষ মারা যান। এর একমাস পরেই ঘূর্ণিঝড় কেনেথের আঘাতে মোজাম্বিকে প্রাণ হারান ৫২ জন।
মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কবলে পড়ে পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশ। যার আঘাতে দুই দেশে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়। ক্ষয়ক্ষতি হয় ব্যাপক। নভেম্বরে আবারও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এতে দুই দেশে মারা যায় ৪১ জন।
আগস্টে ভারতের কেরালায় বন্যার কারণে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। আকস্মিক বন্যায় নেপালে ৭৮ জনের মৃত্যু হয়। ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় চীনে মারা যায় ৬১ জন।
ইতালির ভেনিসে ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে এবার। পার্লামেন্ট পর্যন্ত উঠেছিল পানি। ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও বন্যা দেখা দেয়।
সেপ্টেম্বরে কাশ্মীরে ভূমিকম্পে অন্তত ৪০ জন প্রাণ হারান। আলবেনিয়ায় নভেম্বরে ভূমিকম্পে ৫২ জন মারা যান।
শক্তিশালী হারিকেন ডোরিয়ান আটলান্টিক থেকে উঠে এসে বাহামায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এতে অন্তত ৮০ জন মারা যান। ডিসেম্বরে ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় কামমুরির আঘাতে প্রাণ হারান ১৭ জন।
এছাড়াও আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়া, ইরান ও কেনিয়ায় মারা যান অন্তত চার শতাধিক মানুষ।
এদিকে, প্রায় বছর জুড়েই আলোচনায় ছিলো দাবানলের ঘটনা। সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনা ঘটে বিশ্বের বৃহত্তম রেইনফরেস্ট আমাজনে। পৃথিবীর ফুসফুস নামে পরিচিত আমাজন জঙ্গলের হাজার হাজার জায়গায় আগুন জ্বলে। অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে দাবানল।
বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ার দুই রাজ্যে নজিরবিহীন দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। গত আগস্টে শুরু হওয়া দাবানল এখনো জ্বলছে। এতে প্রাণ গেছে ৯ জনের।
বছরের শেষে নিউজিল্যান্ডের জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হোয়াইট আইল্যান্ডে অগ্নুৎপাতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়।
/এএস