কৃষিপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

১০ লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সব কিছু বিবেচনায় রেখে মজুদ বাড়াতে চলতি বছর অন্তত ১০ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর মধ্যে সাড়ে চার লাখ টন চাল আমদানি করার চুক্তি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আমনের ভরা মৌসুমেও সরকারি গুদামে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ধান ও চাল মিলছে না।

সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে দাম বেশি হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মজুদ বাড়াতে সরকারিভাবে চাল আমদানির পরিকল্পনা হয়েছে। গত সাত বছরের মধ্যে সরকারিভাবে এটাই হবে সর্বোচ্চ পরিমাণ চাল আমদানি। এর মধ্যে সাড়ে চার লাখ টন চাল আমদানি করার চুক্তি হয়েছে।

সূত্র জানায়, ভারত ও ভিয়েতনামের সঙ্গে জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আনার আলোচনা চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে চলতি আমন মৌসুমে সরকার ১০ লাখ টন ধান ও চাল কেনার টার্গেট নিলেও এখন পর্যন্ত মিলারদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে মাত্র পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টনের। সংগ্রহ করা হয়েছে তিন লাখ ২৩ হাজার টন, যা মোট টার্গেটের এক-তৃতীয়াংশেরও কম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘মজুদ বাড়াতে ৯-১০ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা আছে।

এর মধ্যে সাড়ে চার লাখ টন আমদানির চুক্তি করা হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু চাল আমরা পেয়েছি। বোরোর উৎপাদন দেখে বাকি চালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত বছর বিদেশ থেকে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। ২০২৩ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ছয় লাখ ৩৩ হাজার টন, ২০২২ সালে ছয় লাখ ৮৩ হাজার টন, ২০২১ সালে পাঁচ লাখ ৭২ হাজার টন চাল। এ বছর উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আড়াই লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। এ ছাড়া মায়ানমার থেকে জিটুজি বা সরকারি পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এক লাখ টন চাল আমদানি চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান থেকেও ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করতে আলোচনা চলছে। আলোচনা চলছে ভারতের সঙ্গেও। জিটুজির বাইরে মায়ানমার থেকে উন্মুক্তভাবে ৭৫ হাজার টন চাল আসবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১৬ জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, সরকারি গুদামে ১২ লাখ ৫২ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে চাল আট লাখ ৫১ হাজার টন এবং গম তিন লাখ ৮৬ হাজার টন। গত বছর এ সময়ে সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মজুদ ছিল অন্তত ১৫ লাখ টন।

সূত্র: কালের কন্ঠ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close