দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
১০ মিনিটে পদ্মা পার, টোল প্লাজায় থামবে না গাড়ি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্নের পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্মাণযজ্ঞ। দেশের সবচেয়ে বড় পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুর এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে ৫ কিলোমিটারের বেশি।
আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে মার্কিন নকশায় স্টিলের এই দ্বিতল সেতুর উপরের চার লেনে সড়ক পথ আর নিচে রেললাইন বসানোর কাজ বাস্তবায়ন করছে চীনা প্রতিষ্ঠান। এরইমধ্যে মূল সেতু তৈরির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজই সম্পূর্ণ হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে দেশের মানুষ।
সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোল প্লাজায় রয়েছে বেশ কয়েকটি লেন। দেড়-কিলোমিটার সংযোগ সড়কের আওতায় আব্দুল মোনায়েম গ্রুপ এ টোল প্লাজার নির্মাণ কাজ শেষ করেছে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর যানবাহনগুলো পদ্মা সেতু পাড়ির জন্য সরকার যে টোল নির্ধারণ করবে সেই টোল দিতে যানবাহনগুলোকে টোল প্লাজায় থামতে হবে না। সরাসরি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো নিরবিচ্ছিন্ন গতিতে নদী পার হবে।
পদ্মা সেতু টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ জানান, পদ্মা সেতুর দুই পাশে যে দৃষ্টিনন্দন ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সেই মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলবে নিরবচ্ছিন্ন গতিতে। এমনকি পদ্মা সেতুর টোল প্লাজাতেও যানবাহনগুলোকে থামতে হবে না।
প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে এই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সময়ের কথা বিবেচনা করেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। মাত্র ১০ মিনিটে পদ্মা সেতু পার হতে পারবে যানবাহনগুলো। যা এখন নদী পার হতে সময় লাগছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের পাশাপাশি এলাকার পর্যটন খাতে যোগ করবে নতুন মাত্রা। আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে প্রকল্প এলাকায় নির্মিত সার্ভিস এরিয়াগুলোর কাজ শেষে সাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে।
/এন এইচ