দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত; ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের গতি ও চরিত্র ক্রমেই বদলে যাচ্ছে। ফলে বদল হচ্ছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসও। আজ মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া কক্সবাজার, চট্টগ্রামে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়েছে সংস্থাটি।
আগে ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় ১৫ জেলায় এবং এসব জেলার দ্বীপ ও চরে স্বাভাবিকের তুলনায় পাঁচ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের বার্তা দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর। কিন্তু রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টার পর আবহাওয়া অধিদফতরের দশম বিশেষ বুলেটিনে ৮ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
তিনদিন ধরে সাগরে শক্তি সঞ্চয় করতে থাকা ঘূর্ণিবায়ুর চক্রটি শনিবার সন্ধ্যায় গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। তখন এর নাম দেওয়া হয় ‘রেমাল’। রোববার (২৬ মে) দুপুরে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। আর আজ রাতে আঘাত হানবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে।
ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। ঝুঁকিতে থাকা এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। স্বেচ্ছাসেবীরা লাল পতাকা নিয়ে নেমে পড়েছেন মাঠে। হ্যান্ড মাইকে তারা মানুষকে সতর্ক করছেন, নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলছেন।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলো গুছিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে শনিবার দিনের বেলা থেকেই। ভারি বর্ষণে ভূমি ধসের শঙ্কা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকেও বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।