খেলাধুলা
হোয়াইটওয়াশের পর ভারতকে শাস্তি দিল আইসিসি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ভারত। ২০০৬ সালের পর আবারও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার ক্ষত না শুকাতেই এবার আইসিসির শাস্তি পেল কেএল রাহুলের দল।
মন্থর বোলিংয়ের জন্য বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় তথা শেষ ওয়ানডেতে মন্থর বোলিংয়ের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির ৪০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
নিয়মানুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারলে, নির্ধারিত সময়ের পর যতগুলো ওভার বাকি থাকবে প্রতিটির জন্য ২০ শতাংশ করে জরিমানা করা হবে। রোববার (২৩ জানুয়ারি) ভারতের বোলাররা নির্ধারিত সময়ে দুই ওভার কম বল করেছিলেন। যার জন্য এমন শাস্তি।
কেপটাউনে শেষ তথা তৃতীয় ওয়ানডের শেষ দিকে দীপক চাহারের ৫৪ রানের লড়াকু ইনিংসের পরও ৪ রানে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩১ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছিল ভারত।
তৃতীয় ও সবশেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ২৮৭ রানের জবাবে ২৮৩ রানে শেষ হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস। যদিও ভারতের ভীত গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ান মিলে। লোকেশ রাহুল আউট হওয়ার পর এ দুজন গড়েন ৯৮ রানের জুটি। ধাওয়ান করেন ৬১ রান। বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৬৫।
রিশভ পন্ত গোল্ডেন ডাকে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আন্দাইল পেহলুকাওয়ার বলে। এরপর শ্রেয়াস আয়ার ২৬ ও সুরিয়াকুমার যাদব ৩৯ রান করে যোগ করেন স্কোর বোর্ডে। শেষ দিকে দলকে একাই জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে থাকেন চাহার। ৩৪ বলে তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়ের মার। প্রোটিয়াদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি ও আন্দাইল পেহলুকাওয়া।
শুরুতে ব্যাট করে ডি ককের সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়ারা করে ২৮৭ রান। রোববার (২৩ জানুয়ারি) কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। জানেমান মালানকে নিয়ে ইনিংস ওপেন করতে নামেন কুইন্টন ডি কক। মালানকে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন দীপক চাহার। ১ রানে ফিরে যান মালান।
টেম্বা বাভুমাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ভারতীয় বোলারদের তোপের সামনে। তার ৮ রানের পর ব্যক্তিগত ১৫ রানে এইডেন মারক্রাম যুজবেন্দ্র চাহালের ঘূর্ণিতে ধরা পড়েন রুতুরাজ গাইকওয়াদের হাতে। এক প্রান্তে যখন প্রোটিয়া ব্যাটাররা একের পর এক বিদায় নিচ্ছিলেন তখনও অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন কক। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দেড়শ’র পথে হাঁটছিলেন তিনি। সেখানে কাল হয়ে দাঁড়ান জাসপ্রীত বুমরাহ। ১২৪ রানে কককে সাজঘরে পাঠান তিনি। ককের ১৩০ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ২টি ছয়ের মার।
এরপর হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রসি ভন ডার ডুসেন। ৫২ রান করে আউট হন তিনি। শেষ দিকে ডেভিড মিলারের ৩৯, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ২০ ও কেশভ মহারাজের ৬ ভর করে ২৮৭ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিক শিবির। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন প্রাসিধ কৃষ্ণা। ২টি করে উইকেট পান চাহার ও বুমরাহ।