শিল্প-বানিজ্য
হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৪ গুণের বেশি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: গেল ১০ বছরে হিলি স্থলবন্দরে সরকারের রাজস্ব আদায় বেড়েছে চার গুণের বেশি। প্রথম দিকে বন্দরটিতে ১০০ থেকে ১১০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হলেও বর্তমানে প্রতিবছর রাজস্ব আদায় হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার বেশি। শুরুর দিকটা কিছুটা বেগ পেতে হলেও এখন তা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
১৯৮৬ সালে যাত্রা শুরু করে হিলি স্থলবন্দর। সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে বাড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি, সেই সঙ্গে বাড়ছে রাজস্বও। সংশ্লিষ্টদের দাবি, পানামা ওয়্যার হাউস প্রতিষ্ঠার পর কিছুটা কমলেও পণ্য আমদানি-রফতানিতে স্বচ্ছতা ফিরে আসায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে। তবে বন্দরের রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা গেলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি বাড়ার পাশাপাশি হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনার কথা বলছেন আমদানিকারকরা।
আমদানিকারক ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘বিগত দিনে পোর্ট না থাকায় আমাদের এখানে যে অনিয়ম ছিল, পোর্ট হওয়ার পর সে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। এ শৃঙ্খলা অব্যাহত থাকলে ও সরকারিভাবে যদি পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা যেমন: রাস্তাঘাট ও শেড করা হয়, তাহলে আমাদের এখানে আমদানি-রফতানি দ্বিগুণ হবে। ফলে রাজস্ব বাড়বে।’
হিলি আমদানি-রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, বর্তমানে এখানে প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়। বারবারই এখানে লক্ষ্য পূরণ হয়। কোনো কোনো সময়ে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণও এখানে রাজস্ব আয় হওয়ার নজির রয়েছে। এ ছাড়া পোর্টের জায়গাটি আরও প্রশস্ত করতে হবে। পাশাপাশি আরও গুদাম দরকার।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রাজা শাহিন বলেন, নিরাপত্তাসহ সার্বিক সুযোগ-সুবিধা আগের তুলনায় ভালো হয়েছে।
পানামা অভ্যন্তরে জায়গা সম্প্রসারণ ও আমদানি-রফতানি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। হিলি কাস্টমসের উপকমিশনার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, এ বন্দরটিকে ব্যবহার করে ব্যবসার যে জাগরণ বা সূচনা হয়েছে, তার জন্য সবাই চাচ্ছে বন্দরটিকে একটি সমৃদ্ধ প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। পোর্ট, কাস্টমস, পানামা, ব্যবসায়ী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সবাই চাচ্ছেন। কারণ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সে অগ্রগতি চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, গেল ২০২১-২২ অর্থবছরে হিলি কাস্টমস রাজস্ব আদায় করেছে ৪২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে ৩০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বেশি।
/এএস