ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনার জেরে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন এসে গিয়েছে। অনেকেই যেমন প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তেমন অনেকেই আবার প্রিয়জনের পাশে থাকার গুরুত্ব নতুন করে উপলব্ধি করেছেন। যেমন কার্লোস এবং গ্রেস। যাদের ভালবাসার কাহিনী এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। খবর- আনন্দবাজার পত্রিকা।
টেক্সাসে সান অ্যান্টোনিও’র করোনার অতিমারির মাঝেই চার হাত এক করার কথা ভেবেছিলেন কার্লোস মুনিজ এবং গ্রেস। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন আগেই কার্লোসের করোনা ধরা পড়ে। ভর্তি হন শহরের মথোডিস্ট নামে এক হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার কোনও উন্নতিই হচ্ছিল না, একসময় তিনি আইসিইউতে চলে যান। এই পরিস্থিতিতেও গ্রেস সব সময় কার্লোসের পাশে ছিলেন, তাকে সাহস জুগিয়েছেন।
প্রায় মাস খানেক করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের পর কার্লোসের কোভিড টেস্ট নেগেটিভ আসে। তখনই তারা সিদ্ধান্ত নেন বিয়েটা সেরে নেবেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে তখনও ছাড়া পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না কার্লোসের, শারীরিক অবস্থার ততখানি উন্নতি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালের কর্মীরাই ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে আসেন। সব দায়িত্ব তারাই নিজেদের কাঁধে তুলে নেন। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে ভাবে বিয়ে হওয়ার ছিল, সে ভাবে না হলেও যতটা সম্ভব আয়োজন করেন হাসপাতাল কর্মীরা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের পোশাকে করিডর দিয়ে এগিয়ে আসছেন গ্রেস। আর বেডে শুয়ে থাকা কার্লোসের সঙ্গে হাসপাতালের মধ্যেই বিয়ে সারছেন। এমনকি বিয়ের কেকেরও আয়োজন করা হয়।
এই বিয়ের ভিডিও একটি সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে। শনিবার পোস্ট হওয়া ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি বার দেখা হয়েছে। সেই সঙ্গে নেটাগরিকরা গ্রেস ও কার্লোসের প্রেম এবং হাসপাতাল কর্মীদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
/এন এইচ