দেশজুড়ে
হাসপাতালে বসে ফুচকা খাচ্ছেন হত্যা মামলার আসামি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ লাবনী আক্তার ইমু। একটি হত্যা মামলার আসামি। কানের সমস্যাজনিত কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি তিনি। আর সেখানেই পুলিশ ও কারারক্ষীদের সামনে বসে ফুচকা-চিকেন বল খেতে দেখা গেল তাকে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী কোনো আসামিকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও কারা আইন অনুযায়ী বাইরের খাবার দেওয়া নিষেধ। এমনকি হাসপাতালের খাবারও পরীক্ষা করে তারপর খেতে দেওয়ার নির্দেশ আছে।
গতকাল বুধবার(১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের তৃতীয় তলায় নাক-কান-গলা বিভাগের ৩০৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বেডে গিয়ে হত্যা মামলার আসামির এভাবে চিকেন বল ও ফুচকা খাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়।
দেখা যায়, আসামি একটি প্লেটে করে ফুচকা ও চিকেন বল খাচ্ছেন এবং পাশে থাকা ডিএমপির নারী পুলিশ ও কারারক্ষীকে ফুচকা খাওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। এর কিছুক্ষণ পর ছবি তুলতে গেলে হাত দিয়ে নিষেধ করতে থাকেন আসামি লাবনী।এক পর্যায়ে সেখানে থাকা দুই নারী কনস্টেবল ও সুশান্ত নামে এক কারারক্ষীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, ওনার মা এনেছে, উনি কি ফুচকা খাবেন না?
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিউটিরত সহকারী প্রধান কারারক্ষী শেখ মো. কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে কানের সমস্যাজনিত কারণে গত তিন থেকে চারদিন আগে আসামিকে এখানে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন তার অস্ত্রোপচার লাগবে।
হাসপাতালের বিছানায় বসে ফুচকা ও চিকেন বল খাওয়ার কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি দ্রুত ওয়ার্ডের দিকে যাচ্ছি। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কারারক্ষী শেখ মো. কামাল হোসেন আরও জানান, বাইরের খাবার তো দূরের কথা, হাসপাতালের খাবারও পরীক্ষা করে আসামিদের খাওয়ানোর নির্দেশ আছে।
এদিকে কাশিমপুর নারী কারাগারের জেলার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে এক নারী আসামি লাবনী আক্তার ইমু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি হত্যা মামলার আসামি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার দেবেশ চন্দ্র তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই ওয়ার্ডে নারী আসামি ভর্তি আছেন। তবে কার আন্ডারে ভর্তি আছেন, আসামির কি সমস্যা আগামীকাল সকালে তার ফাইল দেখে বলতে পারব।
/এন এইচ